কিছু কথা সমুদ্রের ঢেউয়ের মত বার বার উঠে আসে। আমি জানি এমন হয়না এরকম মানুষ পাওয়া যাবে না। আমাদের যেমন অন্তরে আগুন আছে তেমনি হীম শীতল বরফ আছে। যদি আলো আমাদের মনোজগৎ এর পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে এমন কথার ঢেউ, ঘটনা, রটনা হয়ে সবসময় আমাদের গ্রাস করবে। এই যে খবরের ভেতর খবর, এই যে আদিমতা এর উৎস কোথায়? যদি এমন অদ্ভুত লোমহর্ষক খবর, যার পরিবারের জন্য ভীষন যন্ত্রণার! যদি এমন খবর প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে ঘটতে থাকে তাহলে একটু ভালো করে বিষয়টি দেখতে হবে।।
আজ সমগ্র বাংলাদেশে যে খবর ছেয়ে আছে তাকে কি আমরা নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাববো? নাকি এর অন্তরালে যে কুটনৈতিক ও কুটকৌশল খেলা করছে তার মূল উৎস খুজে দেখবো।
রাজনৈতিক দেওলিয়া বনাম আদর্শ? একটু ভেবে নেই? কোন ধর্মের মানুষ বা কোন স্থান কাল, জাত, পাত এবং ভৌগলিক অবস্থান বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হচ্ছে মানবিকতা এবং নৈতিকতা। আদর্শের ক্ষেত্রে প্রতিটি ধর্মে মানুষের উপর অযথা নির্যাতন কাম্য এবং গ্রহনযোগ্য নয়। আপনি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যে ভুখন্ডের ই হন না কেনো আপনার নিরাপত্তার অধিকার একটি মৌলিক এবং সার্বজনীন অধীকার। যদি এমন ভেবে অগ্রসর হই যে আমার যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা থাকবে, আইনের প্রয়োগ শিথিল এবং অকার্যকরী। তাহলে যে কোন উৎসের অধীকার(নৈতিক অনৈতিক) আদায়ের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্বে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে তা হোক কোন ব্যাক্তির, দলের, এমনকি জাত এবং সাম্রাজ্যেবাদী, বৈদেশিক হস্তক্ষেপের। কেননা অস্থিতিশীলতা শুধু দেশকে নয়, সভ্য নাগরিক এবং উন্নয়নের উৎকর্ষতা পেতে যাচ্ছে এমন দেশকে দমিয়ে রাখার মোক্ষম হাতিয়ার। তাই যে সমাজে আজ এমন ঘটনা ঘটতে থাকে সে দেশের সুশাসনের অবস্থা যে কতটা নিম্ন পর্যায়ে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
প্রতিটি নির্যাতনের দ্রুত বিচার ই কেবল অঘটনের প্রতিবন্ধকতা হিসবে চিহ্নিত হবে। তাই এমন ঘটনার প্রকৃত চিত্র জনসম্মুখে দ্রত প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। এবং নির্যাতিতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
লেখক : দন্ত্য-স রানা






