শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
সলঙ্গায় ডোবার পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের উপরে হামলা,এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি কেউ 
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় আসামিদের শাস্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁয় মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যার ঘটনায় দু’জন আটক
সিরাজগঞ্জে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জে ১টি স্পেশালাইজড ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি সাইদুর রহমান বাচ্চুর
তাড়াশে পিকআপ ভ্যান চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কাঁদলেন ও কাঁদালেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রঞ্জন,অভিযোগ প্রমাণের দাবি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ বিকেলে 

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না তাড়াশের তালম ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ খাঁন

তারিকুল আলম,স্টাফ রিপোর্টারঃ ইউনিয়ন ভূমি উপ – সহকারী কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহমেদ খান (৪৬) ৩য় শ্রেণির এই চাকরির ১২ তম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন ২৭,০০০হাজার, ৩০ হাজার টাকা। এই বেতনে চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন ফ্যামিলি নিয়ে  চান্দাইকোনা আলিশান ফ্ল্যাটে  ।

এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে সিরাজগঞ্জ তাড়াশ   উপজেলার তালম  ইউনিয়নে গোন্তা ভূমি অফিসে  ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।   

ফিরোজ আহমেদ খান ( ০৭-০৬-২০০৭ ইং সালে)    ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি তে যোগদান করেন। ঠিক এরপরই কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে জমি খারিজ, খাজনা, নামজারি ও পর্চার কাজে ঘুস নিয়ে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

‘জমির নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলেই ফিরোজ আহমেদ খান কে ঘুস দিতে হয়। 

সরেজমিনে ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ফিরোজ আহমেদ খান তাড়াশ  উপজেলার   তালম   ইউনিয়নে গোন্তা ভূমি অফিসে ভূমি উপ- সহকারী  কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার পরে সে এবং তার আউটসোর্সিং এর দালাল আবদুল আজিজ  এবং অফিস সহায়ক নাজমুল ঘুষের রাজত্ব কায়েম করে । দালাল আবদুল আজিজ ভূমি অফিসের কেউ না হয়েও সে অফিস কর্মকর্তার মতো নিয়মিত অফিস করে, সংবাদকর্মীরা দালাল আবদুল আজিজ কে জিজ্ঞাসা করলেন দালাল আবদুল আজিজ বলেন, আমি নায়েব ফিরোজ আহমেদ খানের খুব কাছের লোক আমি ওনাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি। দালাল আবদুল আজিজের তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সে ইউনিনের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে মোটা অংকের কাজ ধরে মিটিয়ে নিয়ে আসেন, অফিসে এসে নায়েব ফিরোজ আহমেদ খান এবং তার অফিস সহায়ক নাজমুল  কে দিয়ে কাজ হাসিল করে তিন  জন মিলে ঘুষের টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। এবং তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, নায়েব ফিরোজ আহমেদ খান ও দালাল আবদুল আজিজ  এবং অফিস সহায়ক নাজমুল  অফিস টাইম শেষ হওয়ার পরেও তারাও অফিসে বসে রাত ওঅবধি  নায়েব ফিরোজ আহমেদ খান ও দালাল আবদুল আজিজ  এবং অফিস সহায়ক নাজমুল  বড় পাটি নিয়ে এসে দেনদরবার করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। নায়েব ফিরোজ আহমেদ খান কে দালাল আবদুল আজিজ  সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ও আমার খুব কাছের লোক ও আমার অফিসের কেউ না  আমাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। 

 তালম  ইউনিয়নের তালম পদ্মপাড়া গ্রামের   ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘জমির খারিজের সরকারি ফি ১১,৭০ টাকা কিন্তু  নায়েব ফিরোজ আহমেদ খান এবং তার অফিস দালাল আবদুল আজিজ এবং অফিস সহায়ক নাজমুল    আমার কাছ থেকে  ঘুস নিয়েছিল ২৫,০০০ হাজার টাকা এবং গোন্তা গ্রামের  আরেক ভুক্তভুগি মোতালেব হোসেন বলেন আমার খারিজের বিষয়ে  নায়েব ফিরোজ আহমেদ খানের কাছে গেলে তিনি বলেন আপনার জমির কাগজ পাতি তে অনেক ঝামেলা আছে, এক সপ্তাহে পরে আসেন দেখি কি করা যায়, এক সপ্তাহ পারে আসলে তিনি বলেন  আপনি অফিস সহায়ক নাজমুল এবং আবদুল আজিজ  এর সাথে কথা বলেন কিন্তু অফিস সহায়ক নাজমুল এবং আবদুল আজিজ এর কাছে গেলে তেনারা  বলেন আপনার জমিতে অনেক সমস্যা এইগুলি ঠিক করতে ৩০,০০০ হাজার টাকা লাগবে পরে আমি ৩০,০০০ হাজার টাকা দিয়ে এই গুলি নিরুপায় হয়ে ঠিক করে নেই ।

 ইউনিয়নে জনসাধারণকে ভূমি অফিসের সেবা  সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এই ভূমি অফিস সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলে না, তাদের নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী চলে তারা যখন খুশি খোলে এবং যখন খুশি বন্ধ করে চলে যায় ভূমি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ বলেন আমরা এই অফিস থেকে সঠিক সেবা পাচ্ছি ন। এবং এই অফিসে  ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না।  ফিরোজ আহমেদ খান (০১-০৭-২০১৯ইং) সাল থেকে ঘুষের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে তালম গোন্তা  ভূমি অফিসে দেখার যেন কেউ নেই,  উক্ত বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারের   সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তালম ইউনিয়নের গোন্তা ভূমি অফিস বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, নায়েব ফিরোজ আহমেদ খান যদি কোন অনিয়ম করে থাকে এবং সেটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।  

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০