
ওয়াসিম সেখ, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বাঐতারা বাইতুল মামুর জামে মসজিদে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি আওয়ামী লীগের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান। এ ঘটনায় সেই মাদক সেবী যুবককে গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মাদক সেবী হলেন, সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর-রান্ধুনী বাড়ি গ্রামের মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. ওয়াসিম শেখ।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, কর্নেল নাহিদ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
এসময় সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, মসজিদে আগুন দিয়েছে এটা আওয়ামী লীগের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ, আজকে তারা একটি মাদক সেবী/পাগল যুবককে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সিরাজগঞ্জে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় যদিও এলাকাবাসী বলছে মাদক সেবী/পাগল আমার প্রশ্ন হচ্ছে সে কেন অন্য কোন মসজিদে আগুন দিল না এখানে কেন আগুন দিল আমরা জানি মসজিদের পিছনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। আমরা দেখেছি এখানে কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক জড়িত ছিল না, তাদেরকে এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ফেলে দেওয়ার একটি অংশ। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাই। স্বৈরাচার সরকারের নেতাকর্মীরা এরকম ঘিন্ন ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই অতি দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করায়। আমি প্রশাসনের কে অনুরোধ জানাই এই ঘটনার পিছনে যারা জড়িত তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে জনসম্মুক্ষে আনার জন্য।
গতকাল রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাত ৪ টার দিকে একটি অস্ত্র হাতে নিয়ে তিনি মসজিদের দ্বিতীয় তলা প্রবেশ করে মসজিদে থাকা ২৫ টি কোরআান শরীফ, ১৫০টি আমপাড়া, ৩টি সবর গ্রহণের টেবিল, ৩টি বিছানার কার্পেট আগুন ধরিয়ে দেন।
মসজিদের পাশে অবস্থিত একটি দোকানের মালিক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রাত চারটার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে উঠে দেখি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আগুন জ্বলছে তখন আমি মসজিদের মুয়াজ্জিনকে ডেকে বিষয়টি জানাই সেই সাথে মানুষকে ডাকাডাকি করে সঙ্গে নিয়ে মসজিদে আগুন নিভাই।
বাঐতারা বাইতুল মামুর জামে মসজিদে
ঈদের ইমাম মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে এসে শুনি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ওয়াসিম নামের এক মাদক সেবী যুবক আগুন দিয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মসজিদে থাকা ২৫ টি কোরআান শরীফ, ১৫০টি আমপাড়া, ৩টি সবর গ্রহণের টেবিল, ৩টি বিছানার কার্পেট, একটি গ্লাসের দরজা, একটি জানালা সহ আানুমানিক ৭০ হাজার টাকা আর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।