আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানা দূষণঃ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় করণীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ( বেলা) এর আয়োজনে,
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহিদ এ. কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ রফিক সরকার এবং স্বাগত বক্তব্যে রাখেন, বেলা এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর এএমএম মামুন ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার। মুক্ত আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল।
অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, পরিবেশ অধিদপ্তর,সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম, স্বপ্ন এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
এসময়ে রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিন বাদশা, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন, রজব আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আইনুল হক, সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (সুক) এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সুখের আলো মহিলা কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা সোহেল আহমেদ, কামরুন্নাহার, মডেল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এম.ডি.পি) এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আসলাম শেখ, উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সাবিনা ইয়াসমিন,শার্প পরিচালক সাফিয়া সুলতানা,অংকুর এর নির্বাহী পরিচালক নিয়াজী সুলতানা, পরস এর নাসিরুল হাকিম,এমইউএস এর সমন্বয়কারী মোস্তাফিজুর রহমান, ইডি এইচএসএমএস এর শেলিনা নাজনীন শেলী, পরিবর্তন এর উপ-পরিচালক মোছাঃ রোখসানা খাতুন, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান মুন্না, সাংবাদিক আহসান হাবিব মুন্না সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তাঁত কারখানা দূষণ হয় তাঁতের সুতা প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত রাসায়নিক বর্জ্যে যত্রতত্র ভাবে ফেলার কারনে নিয়মনীতি না মানায় হুমকির মুখে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। ক্ষতিগ্রস্ত হয় উর্বর ফসলি জমি।
এর ফলে কয়েকটা বাড়ির টিউবলের পানি দূষিত। রঙের গন্ধে থাকা যায় না, নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে। পশু-পাখি এই পানি খেয়ে মরে যায়। তাঁত সমৃদ্ধ এলাকার অনেক মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করে । তাই যত্রতত্র ভাবে নানা ধরনের রাসায়নিক মিশ্রিত বিষাক্ত রং পানি আশপাশের ডোবা-নালা, খাল-বিল ও নদীতে ফেলা যাবে না । প্রতিষ্ঠানের পরিচালক / স্বত্বাধিকারীরা এবং সমাজের প্রতিটি মানুষ সচেতন ভাবে রাসায়নিক মিশ্রিত বিষাক্ত রং পানি নিদিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।