
সেলিম তালুকদার, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাল হোসেন (৫৫) উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিজ দলের কিছু হাইব্রিড নেতাদের বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা।
আহত আলাল হোসেন শাহজাদপুর পৌর শহরের শক্তিপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার মৃত রহম আলী শেখ এর ছেলে। হামলার ঘটনায় থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে তার বড়ভাই মোঃ জালাল বাবু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেলে আলাল হোসেন বাড়ি থেকে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় স্থানীয় জাগরণী সংঘের সামনে পৌঁছালে হাসিব পরিবহনের মালিক মোঃ হারুনর রশিদের নেতৃত্বে মোঃ আরিফ, মোঃ আলামিন, সবুজ, জেলহজ, বাবু ও জসিম সহ ১২/১৩ জনের একটি দল তার গতিরোধ করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এসময় তার কাছে থাকা ৫৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অভিযুক্তরা।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন। নাকের আঘাত গুরুতর ও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
এই বিষয়ে হামলার স্বীকার পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর সাবেক এমপি ও তার পুত্রের সাথে মিলে হারুন বাস মালিক সমিতি দখলে নিয়েছিল। তাদের দ্বারা আমরা যারা বিএনপি করি হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। স্বৈরাচারের পতনের পর শাহজাদপুরে বিএনপি’র কিছু হাইব্রিড নেতা অর্থের লোভে আওয়ামীলীগ ও হারুনের সাথে আঁতাত করছে। এতে করে শাহজাদপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী এখনও নির্যাতিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হাসিব পরিবহনের মালিক হারুনর রশীদ একজন চিহ্নিত আওয়ামীলীগ নেতা। তবে বিএনপির কিছু হাইব্রিড নেতা তার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আশ্রয় প্রশ্রয় ও বিএনপিতে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের ইন্ধনে হারুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপরে হামলা চালিয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত হাসিব পরিবহনের মালিক হারুনর রশিদ বলেন, ব্যবসায়ীকভাবে আমাকে কোনঠাসা করার জন্য ও পরিবহন খাতকে অস্থিশীল করার জন্যই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় জড়িতরা তারই বাসের স্টাফ কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এক বা একাধিক ব্যক্তি আমার বাসে কাজ করলেই আমি দোষী নই।