শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
তাড়াশে পিকআপ ভ্যান চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কাঁদলেন ও কাঁদালেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রঞ্জন,অভিযোগ প্রমাণের দাবি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ বিকেলে 
সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না : গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন এর উপর শিবির কর্মীর হামলা,জেলা বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ 
কাওয়াকোলায় দূর্গম চরাঞ্চল বড় কয়ড়াতে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি
সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৬ দফা দাবি আদায় ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কাফন মিছিল অনুষ্ঠিত
উল্লাপাড়ায় ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

সিরাজগঞ্জে চাল সংগ্রহ অভিযানে সাড়া পাওয়া গেলেও ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকের

এইচএম মোকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় মাসে গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া মেলেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাযায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪’শ ৩৩ মেট্রিক টন ধান ও মিলারদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৯৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ধান ৩৩ টাকা ও চাল ৪৭ টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ ধান চাল ক্রয় অভিযান শুরু করেছে এবং আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী এ ক্রয় অভিযান শেষ হবে।

তবে প্রায় দেড় মাসেও জেলার ৯টি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তবে চাল সংগ্রহে জেলার ৯টি উপজেলার তালিকাভক্তু ৩৯১জন মিলারের মধ্যে ২৮৫জন মিলার এবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তিবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০৯৮.৬৮০ মেঃটন এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৩৫৯.৪৫০ মেঃটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। যা অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ এবং ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪৩৩ মেঃটন এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩৩.৪০০ মেট্রিক টন। এ অভিযানে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিলার বলেন, লাইসেন্স রক্ষায় খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি এবং ইতিমধ্যে কিছু চালও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব কারণে খাদ্য গুদামগুলোতে অনেক শ্রমিক এখন প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকেরা এখন গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী না এবং বেশিরভাগ কৃষকই বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুনর রশীদ যায়যায়দিনকে জানান, জেলায় তালিকাভুক্ত ৩৯১ টি চালকল রয়েছে। এসব চালকলের মধ্যে ২৮৫ জন চালকল মালিক চাল সংগ্রহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৫৪ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাকি সময়ের মধ্যে পুরোপুরি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০