বুধবার, ৪ঠা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
খাল নেই,তবুও সমতলেই চলছে সেতু নির্মাণ
সিরাজগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ক্ষতিকর ৫০ বস্তা আইস ললি ও ৩ হাজার প্যাকেজ ভেজাল শিশু খাদ্য ধ্বংস
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করলেন-জেলা পুলিশ সুপার
উল্লাপাড়ায় ধান ভাগাভাগি নিয়ে কৃষককে মারপিট,আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
ঈদুল আযহা উপলক্ষে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে ৩০৭৯ জন হতদরিদ্রের মাঝে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ
উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
যমুনা হার্ডপয়েন্টে লাভ সিরাজগঞ্জ ল্যান্ডমার্কের উদ্বোধন ও বৃক্ষ রোপণ করেন- জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম 
কামারখন্দের ৩নং জামতৈল ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাউল বিতরণ
৩৫ মণের বান্টি বিক্রি হলেই হজ্বে যাবেন বেলকুচির আব্দুল মতিন
বেলকুচিতে সুপেয় পানি প্রাপ্তির নিমিত্তে স্থাপিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জে চাল সংগ্রহ অভিযানে সাড়া পাওয়া গেলেও ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকের

এইচএম মোকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় মাসে গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া মেলেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাযায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪’শ ৩৩ মেট্রিক টন ধান ও মিলারদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৯৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ধান ৩৩ টাকা ও চাল ৪৭ টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ ধান চাল ক্রয় অভিযান শুরু করেছে এবং আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী এ ক্রয় অভিযান শেষ হবে।

তবে প্রায় দেড় মাসেও জেলার ৯টি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহে তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তবে চাল সংগ্রহে জেলার ৯টি উপজেলার তালিকাভক্তু ৩৯১জন মিলারের মধ্যে ২৮৫জন মিলার এবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তিবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০৯৮.৬৮০ মেঃটন এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৩৫৯.৪৫০ মেঃটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। যা অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ এবং ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪৩৩ মেঃটন এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩৩.৪০০ মেট্রিক টন। এ অভিযানে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিলার বলেন, লাইসেন্স রক্ষায় খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি এবং ইতিমধ্যে কিছু চালও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব কারণে খাদ্য গুদামগুলোতে অনেক শ্রমিক এখন প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকেরা এখন গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী না এবং বেশিরভাগ কৃষকই বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুনর রশীদ যায়যায়দিনকে জানান, জেলায় তালিকাভুক্ত ৩৯১ টি চালকল রয়েছে। এসব চালকলের মধ্যে ২৮৫ জন চালকল মালিক চাল সংগ্রহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৫৪ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাকি সময়ের মধ্যে পুরোপুরি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০