
নজরুল ইসলাম:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আন্দোলনকারী ও স্বাধীন জেলা যমুনা বিধৌত এ সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলায় প্রথম আন্দোলনকারী হিসেবে শহরে প্রবেশ ও আন্দোলনের হুংকর দেয় শিয়ালকোল ইউনিয়ন। তারপর ধীরে ধীরে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন থানা উপজেলা ও জেলার সর্বস্তরের মানুষ খবর পেয়ে বের হতে থাকে।
জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন প্রথম নেতৃত্বকারী ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আনিছুর রহমান। তিনি পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বারবার কারাবরণ, হামলা মামলার শিকার জেলা বিএনপির আস্থাভাজন ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে জেলা জুড়ে খ্যাতি রয়েছে। মিথ্যা মামলায় কারাগার থেকে বাবার জানাজায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ঢান্ডা ও হ্যান্ডকাপ নিয়ে অংশগ্রহনের সুযোগ পায়।
আজ (৪ জানুয়ারী) মধ্যরাতে আনিছুর রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে এরকম এক আবেগময়ী ও ১৬ বছরের হাসিনা সরকারের নানা নির্যাতন শিকারের চিত্র আংশিক তুলে ধরেন।
বিগত ফ্যাসিবাদি সরকারের আমলে মিথ্যা মামলাই জেলে ছিলাম। নিজের বাবার মৃত্যুর সময়ও কাছে থাকতে দেই নি এই ফ্যাসিস্ট। বাবাকে ঢাকাতে হাসপাতালে ভর্তি করে দলীয় জেলা সমাবেশে থাকায় সিরাজগঞ্জ এ আসার ওই দিন রাতে এই লীগের পেটুয়া পুলিশ আমাকে মিথ্যা ও ভুয়া মামলায় গ্রেফতার করে ।এমনকি আমার প্যারোল এর সময় খুব কম দিয়েছিল এই ফ্যাসিস্ট এর executive বিভাগ। তাঁর ফেসবুক পেজে এরকম চিত্র তুলে ধরার সাথে সাথে দলীয়কর্মী বন্ধু বান্ধব শুভাকাঙ্খিরা আনিছুর রহমানের সুস্থতা দীর্ঘায়ু ও ধৈর্য ধরার সাহসিকতায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রার্থনা জানান।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ জালিমকে ছাড় দেন। কিন্তু ছেড়ে দেন না। জালিমকে তার জুলুমের শাস্তি অবশ্যই ভোগ করতে হবে। যারা জুলুম করে এমন কাউকে মহান আল্লাহ অতীতে ছেড়ে দেননি। তার শেকড় যতই শক্ত হোক। স্বৈরাচার হাসিনা স্বীয় ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য এবং তার পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়ার জন্য জুলুম নির্যাতনের পথ অবলম্বন করেছিল। ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিল। জুলুম করেছিল। কিন্তু এতকিছুর পরও স্বৈরাচার হাসিনার শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে পারি জমিয়েছে ভারতে।