
শাহরিয়ার মোর্শেদ,সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আওয়কামীলীগ নেতাকে সাথে নিয়ে বিএনপি নেতা সরকারি রাস্তার গাছ চুরি করে বিক্রি করায় গত কয়েকদিনে দৈনিক সিরাজগঞ্জ সংবাদ পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। সেই নিউজের আলোকে গত ৩ জানুয়ারি সলঙ্গা থানা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
তদন্ত কমিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
আজ শনিবার থানা বিএনপির নির্দেশিত হয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সরকারি রাস্তার গাছ চুরি করে বিক্রি করার দায়ে থানা বিএনপির দলীয় প্যাডে দপ্তর সম্পাদক ওবায়দুর রহমান সুমনের স্বাক্ষরিত অব্যাহতি পত্রে সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদসহ ফেরদৌস জামান মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত (অব্যাহতি) প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য-সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সলঙ্গা থানার সলঙ্গা ইউনিয়নের চক চৌবিলা এলাকায় অবৈধভাবে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ১৫০ শতাধিক গাছ কেটে নেন, সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি, ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ফেরদৌস জামান মুকুল ও তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হোসেন আলী হাজি।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সলঙ্গা চৌবিলার আঞ্চলিক সড়কের চক চৌবিলা কমনিউটি ক্লিনিকের সামনে থেকে প্রায় অধাকিলোমিটার সড়কের প্রায় ১৫০ টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে নেন চাচা ভাতিজা। যার অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ্যাধিক টাকা।
শুক্রবার ও শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় , একসময়ের আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হোসেন আলী ও তার ভাতিজা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার গাছ গুলো কেটে বিক্রি করেন।
চাচার প্রভাব না থাকলেও ভাতিজা প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গাছ কাটেন । তারা প্রভাবশালী ও প্রতাপশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খোলেন না অনেকেই।