সিরাজগঞ্জ সংবাদ প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৮০ হেক্টর জমিতে লাভজনক মিষ্টি আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। এবার মিষ্টি আলু চাষে বাম্পার ফলের আশা করছেন এসব অঞ্চলের কৃষকেরা। ফলে তাদের চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়,জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৮০ হেক্টর জমিতে লাভজনক মিষ্টি আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলকুচি, কামারখন্দ, কাজিপুর, শাহজাদপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই লাভজনক মিষ্টি আলুর চাষাবাদ বেশি হয়েছে। খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এবার মিষ্টি আলু চাষাবাদে কৃষকেরা বেশী আকৃষ্ট হয়েছেন।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যমুনা ও শাখা নদীর বুক জেগে ওঠা চর-অঞ্চলেই এই শস্যটির চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে। এবার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাদী ও খোকসাবাড়িতে ২৫ সেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে বাগবাটি ইউনিয়নের মরা নদীর বুক জুড়ে মিষ্টি আলু চাষের ফলে সবুজের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে।এই নদীর বুকেই প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু রোপন করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, অগ্রহায়ণ মাসে জমিতে মিষ্টি আলুর বীজ রোপন করা হয় এবং কয়েক মাস পরেই এই ফসল উত্তোলন করা যায়। ধানসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি আলু চাষে লাভ বেশি কিন্তু খরচ খুবই কম। পাশাপাশি এই শস্যটির চাষাবাদে পরিশ্রমও কম হয়ে থাকে। এই আলু হাটে বাজারে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভালো দাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ আলু ভালো দামে ক্রয় করেন এবং বিদেশে এই মিষ্টি আলোর ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে তারা বিদেশে রপ্তানি করে থাকেন। তাই এ বছরেও এই আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, এবারও জেলায় বিভিন্ন স্থানে আলু চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভজনক আলু উত্তোলনে খুশি হবে কৃষকেরা এবং ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন- ক্যান্সার প্রতিরোধে এ মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। এজন্য দেশের চাহিদার পাশাপাশি বিদেশেও এই আলুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এই মিষ্টি আলু রপ্তানি করা হয়ে থাকে।