
ওয়াসিম সেখ, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ-৩(রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) এলাকার বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি,জাতীয় পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তা ও বিএনপি নেত্রী রুহী আফজাল বলেছেন,আমার পিতা প্রয়াত আফজালুল হক মনি তালুকদার ছিলেন পাকিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য ও পাকিস্তান পার্লামেন্টের সেক্রেটারি। তিনি আমৃত্যু এই এলাকার মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। আমি তার কন্যা হিসেবে এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই ও বিএনপির হাল ধরতে চাই। এতে আপনারা আমার পাশে থাকবেন ও সহযোগিতা করবেন।
মঙ্গলবার (৪ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সলঙ্গা থানার নকলা ইউনিয়ন কৃষকদল আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি আমৃত্যু রায়গঞ্জ,তাড়াশ ও সলঙ্গার আপমর জনসাধারণের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন এবং কৃষকদের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উলেখ করে কৃষক বলেন,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর আর দু’লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যখন হুমকির সম্মুখীন ঠিক এমনই একটি সংকটময় মুহুর্তে এদেশের সিপাহী ও জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের মধ্যদিয়ে জিয়াউর রহমান দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে রাষ্ট্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করে দুর্ভিক্ষ কবলিত এই দেশের মানুষের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দেয়ার জন্য কৃষি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। মানুষ যেন পেটভরে ভাত খেতে পারে সে ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। আজকে আমরা যে, ধানের চালের ভাত খাচ্ছি সে ধানও ফিলিপাইন থেকে এনেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এতেই তিনি ক্ষ্যান্ত ছিলেন না,কীভাবে ধান উৎপাদন, রোপণ ও বোপন করতে হয় এবং কৃষি জমিতে সেচ দিতে হয়,সে বিষয়টিও মাথায় রেখে তিনি কৃষি জমিতে সেচের ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষকদের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আর সে ধারাবাহিকতায় তিনি বিদেশ থেকে গভীর নলকূপ ও শ্যালো মেশিন আমদানী করেছিলেন। এছাড়াও কৃষি জমিতে সহজ উপায়ে পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য খাল খনন করেছিলেন। সুজলা,সুফলা ও শস্য শ্যামলা কৃষি নির্ভরশীল বাংলাদেশকে তিনি মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা ও শিক্ষার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়ন সাধনসহ কৃষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। এছাড়াও বিশেষ কৃষি ঋণ কর্মসূচী, জাতীয় বীজ অধ্যাদেশ, কৃষি সংস্কার কর্মসূচীসহ কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কৃষকদল ঘোষিত সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ মাস ব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নলকা নলকা ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি জুলমাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিল্পপতি রুহী আফজাল আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচী ঘোষনা করেছিলেন। এরমধ্যে কৃষি ছিল অন্যতম। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের নানা ধরনের পদক্ষেপ নেন তিনি। তিনিই ছিলেন বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের একমাত্র পথ প্রদর্শক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠার পর পর কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের উন্নয়নের জন্য কৃষক দল গঠন করেছিলেন। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফায়ও কৃষকদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এসময় কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় রায়গঞ্জ,তাড়াশ ও সলঙ্গাকে নিয়ে তার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান আকন্দ,সলঙ্গা থানা বিএনপির সহসভাপতি ফজলার রহমান, সোলায়মান হোসেন,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সুজন,বিএনপি নেতা এপিপি আব্দুল গফুর,সলঙ্গা থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন ও সদস্য সচিব আব্দুস সোবহান প্রমুখ।