মোঃ ওয়াসিম সেখ,সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চুনিয়াহাটি মল্লিকপাড়ায় ২৯ বছরের নারীকে বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে দূখু(৩২) নামেে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই সিরাজগঞ্জ সদর থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে দূখু(৩২) (মালয়েশিয়ান প্রবাসী) একই গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ ও ভীকটিম সুত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা নারীর গত ১ বছর পূর্বে তার স্বামীর সহিদ ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ সুযোগে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে দূখু(৩২) আমার পিছু নিয়ে আমার সহিদ প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত ২ জানুয়ারি ২০২৫ সকাল থেকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করিয়া বিয়ে করবে এই মর্মে জানাইয়া, বেলা ৩ ঘটিকার সময় কড্ডার মোড় এলাকায় থাকতে বলে আমি তাহার কথামতো সরল বিশ্বাসে বেলা ৩ ঘটিকার সময় সেখানে উপস্থিত হয়।মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে দূখু(৩২) আমাকে সাথে নিয়ে বাস উঠে সলঙ্গায় তাহার আত্মীয়র বাসায় নিয়ে যায়, বিয়ে করবে এই মর্মে আমার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র নেয় এবং বলে বিয়ে পড়াইতে কাজী লাগবে কিন্তু দিনশেষের সন্ধ্যা হয়ে যায় এক পর্যায়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে দূখু জোরপূর্ব আমাকে ধর্ষণ করে এবং রাত্রি ৯:৩০ ঘটিকার সময় আমাকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাশিহাটা নাম স্থানে রাখিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে সে আমাকে বিয়ে না করে বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা শুরু করে এবং আত্মগোপনে চলে যায়।
এই ঘটনা জানাজানি হলে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে দূখুর স্ত্রী মোছাঃ আমিনা খাতুন ইদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়,ধর্ষিতা নারী একজন এতিম অসহায় সে ছোটবেলা থেকেই তার নানা বাড়ি থেকেই বড় হয়েছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীর অবশ্যই সাজা হওয়া উচিত।