রংপুর প্রতিনিধি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনা ও লুটেরা আওয়ামী লীগ দেশটাকে শ্মশান বানিয়ে পালিয়ে গেছে। সেই শ্মশান পরিচালনা করতে যেয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহর এখন দাবি-দাওয়ার শহরে পরিণত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পলায়ন এবং নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা বাংলাদেশের জনগণ নতুন করে বাঁচতে শিখেছি। অন্তর্বর্তী সরকার এসে হাসিনার লুট করা বাংলাদেশটাকে একটা শ্মশান হিসাবে পেয়েছে।
সোমবার বিকালে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির দুই দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহিপুর তিস্তা সেতুর নিচে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেছেন, গত ১৬ বছর দাবি-দাওয়া নিয়ে কেউ যায় নাই। আজকে সিএনজি স্ট্রাইক করে, কালকে মাস্টাররা স্ট্রাইক করে, পরশুদিন বাস ওয়ালারা স্ট্রাইক করে। রাস্তাঘাটে জঞ্জাল সৃষ্টি করে বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতি করছে। এটার পিছনেও আওয়ামী লীগের হাত আছে। আওয়ামী লীগের টাকা আছে। সে টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবিতে এক দিকে রাস্তায় ছিল মাওলানা ভাষানী, অপরদিকে সরকারে ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তখন ভারতকে ৪৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। আজ তেমনি আমরা বিএনপি এবং অন্যান্য দল আমাদের সাথে একমত পোষণ করে তিস্তার পাড়ে পানি হিস্যার জন্য হাজির হয়েছি।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্যে টুকু বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যিনি বিশ্ব বরেণ্য সম্মানিত ব্যক্তি, যাকে বিশ্বের প্রত্যেকটা মানুষ শ্রদ্ধা করে, যার বক্তৃতা শোনার জন্য বিশ্বের বড় বড় দেশের রাজধানীতে লাইন পড়ে, পয়সা দিয়ে বক্তব্য শুনে। আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত। আমরা আজকে জনগণকে সাথে নিয়ে এখানে পানির হিস্যার জন্য দাঁড়িয়েছি। প্রেসিডেন্ট জিয়া ও মাওলানা ভাষানী জনগণকে সাথে নিয়ে ভারতের কাছে পানির হিস্যার সোচ্চার আওয়াজ তুলেছিল। আপনিও তেমনি তিস্তার পানির জন্য জাতিসংঘসহ সারা বিশ্বে আমাদের কথা তুলে ধরুন।
আলোচনা সভায় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডন।