শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
সলঙ্গায় ডোবার পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের উপরে হামলা,এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি কেউ 
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় আসামিদের শাস্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁয় মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যার ঘটনায় দু’জন আটক
সিরাজগঞ্জে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জে ১টি স্পেশালাইজড ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি সাইদুর রহমান বাচ্চুর
তাড়াশে পিকআপ ভ্যান চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কাঁদলেন ও কাঁদালেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রঞ্জন,অভিযোগ প্রমাণের দাবি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ বিকেলে 

কামারখন্দে জাল সার্টিফিকেটে চাকরির  অভিযোগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে

ওয়াসিম সেখ, সিরাজগঞ্জ :

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। অভিযোগ রয়েছে অসাধু কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে এই অবৈধ কাজটি করেছেন। এতে চাকরি বঞ্চিত অন্যান্য প্রার্থীসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে তদন্ত-পূর্বক ওই দপ্তর কম প্রহরীকে চাকরীচুতোসহ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলার চর নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দপ্তরী কম প্রহরী পদে ৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে চর নূরনগর গ্রামের মৃত হাসান শেখের ছেলে আল মামুন সম্রাট পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া অলিপুর আমডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের অবহিত করা হয়। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা তোয়াক্কা না করে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে জাল সার্টিফিকেটে তাকে চাকরিতে নিয়োগ দেন। 

অলিপুর আমডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আল মামুন সম্রাট নামে কোন ছাত্র আমার স্কুলে লেখাপড়া করেনি। আমার স্বাক্ষর করা যদি কোন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয় তবে নিশ্চিত সেটি জাল-ভুয়া। জাল সার্টিফিকেটে জমা দিয়ে চাকরি প্রার্থীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এবিষয়ে মামলা বাদী রুবেল জানান, আমি ও প্রার্থী ছিলাম, যদি সম্রাট এর সার্টিফিকেট জাল না হয়, নিয়োগ বোর্ডের যাচাই-বাছাইকৃত সার্টিফিকেট আমাদেরকে দেখান, আমরা জানি উনি দেখাতে পারবে না, নিয়োগে কি হয়েছিল সবারই জানা আছে, সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দ আসনের সাবেক এমপি হাবিবের মিল্লাত মুন্নার চাপে এই অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও চর নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান সার্টিফিকেট জাল হওয়ায় আমি প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু সরকারি নিয়োগ কর্মকর্তারা তোয়াক্কা না করে চাকরি দিয়েছেন।

তিনি আরো দাবি জানান, প্রতিমাসে ১৪ হাজার ৪৪৫ টাকা করে বেতন নেন, এখন পর্যন্ত সে সরকারি বেতন নিয়েছে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫টাকা এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার। যেখানে আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন সে কিভাবে সরকারি বেতন পান?

নিয়োগ বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন সার্টিফিকেটটি প্রাথমিকভাবে সঠিক মনে হওয়ায় চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠায় বিষয়টি তদন্ত করা হবে, তদন্তে জাল প্রমাণিত হলে চাকরি বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে আর কোনো তদন্ত হয়নি। তাই ভুক্তভোগীরা আদালতের মামলা দাখিল করে। এখন পর্যন্ত কোন শুরহ হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে খুব বিরাজ করছে। 

নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, মোঃ সম্রাট হোসেন ছিলেন ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি । জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, তাহার বড় ভাই মোঃ মাসুদ রানার জন্ম তারিখ ১২ই নভেম্বর ১৯৯৭ , এখানে দেখা যায় বড় ভাইয়ের বয়সে চেয়ে ছোট ভাইয়ের বয়স বেশি।

মানিকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর সার্টিফিকেট থেকে পাওয়া যায় তার জন্ম তারিখ ১১ই ডিসেম্বর ১৯৯৬, যাহা এনআইডি কার্ড এবং সার্টিফিকেটের সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট থেকে দেখা যায় সে ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণী পাস করেছে। ১৩ বছর বয়সে সে অষ্টম শ্রেণীর পাশ করেছে।

এবিষয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী আল মামুন সম্রাটকে ফোনে ফোন দিলে তারপর বড় ভাই মাসুদ রানা রিসিভ করে বলেন, যেহেতু এটা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে আদালত যে রায় দেবে আমরা মেনে নেব। আদালত থেকে দুই দফা উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

নিয়োগের বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শায়লা আফরোজি জানান, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা, অত্র বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়ে কোন প্রকার কাগজ পাতি জমা নেই, যা আছে শিক্ষা অফিসে।

এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহ আলম জানান, আমি নতুন এসেছি আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। যেহেতু আমি জানলাম পরবর্তীতে আপনাকে বিষয়টি জানানো হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০