নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফাঁকি দিস না বাবু,ফিরে আয়,স্যার বলে ডাকবি আবার। ফিরে আয়! এই প্রত্যাশা আজ সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসানসহ জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সকল অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
শনিবার গভীর রজনীতে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন ২০১৪ সনের ২৯ ডিসেম্বর ভোর রাতে মির্জা বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন সে জেলা যুবদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। সারাদিন এক অজানা আতংকে( ক্রসফায়ার) আমরা সবাই উদ্বিগ্ন ছিলাম।
সেইদিন ছিলো বাবুর জীবনের প্রথম কারাবন্দী দিন। সেই সময়েও আমি প্রেসক্লাবের সভাপতি। বাবুকে কোটে চালান যেন করে সারাদিন সেই চেষ্টা করি।
সন্ধার সময় বাবুকে কোটে পাঠালে সেই খবর সবাইকে জানাই,এতে অজানা আতংক কেটে যায়,সবার মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
সেদিন বাবুর উদ্বিগ্ন চেহারার হাতকড়ার এই ছবিটি আমি তুলে ছিলাম। থানায় ওর সাথে সেই সময়ে আমারও একটি ছবি ছিলো।দ্বিতীয় ছবি সেটি।
পরের ছবিটি ৪ নভেম্বর ২০১৫ বাবু কারামুক্তির পর ফুলেল শুভেচছা জানাই। প্রায় এক বছর বাবু কারাযন্ত্রণা ভোগ করে,সবচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক ছিলো কারাযন্ত্রণা ভোগ করার সময়ই তার মা মারা যান,প্যারোল ( অস্থায়ী মুক্তি) মুক্তি পেয়ে মায়ের দাফনকাফনে অংশ নেয়।
শেষের ছবিটিতে তার বাড়ী আঙিনায় আমরা দুইজন যুবদলের সাবেক বর্তমান হাস্যোজ্জল মুহুর্তে।
স্ট্যাটাসের শেষের অংশে যা লিখেছেন তা হৃদয়ের গভীরের। তিনি তার স্নেহের মির্জা বাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
বাবু, তোকে বলছি,গত শুক্রবার মালসাপাড়া পৌর কবরস্থান মসজিদে তোর জন্য আবারও দোয়ার আয়োজন করি। ফাঁকি দিস না বাবু,ফিরে আয়,স্যার বলে ডাকবি আবার। এই নিশিরাতে তোর জন্য চোখের পানি টপটপ করে ঝরছে।আল্লাহ বাবুকে ফিরে দাও। আমিন।