আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
এনডিপির আশা প্রজেক্টের উদ্যোগে ধানগড়া ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু বরন ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)র আয়োজনে, এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় আশা প্রজেক্টের আওতায় সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের কাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঝাপড়া কাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্ব স্ব শ্রেণি কক্ষে বুধবার (১৬এপ্রিল ২০২৫খ্রিঃ) ২টি বিদ্যালয়ের প্রাক্ প্রাথমিক শ্রেণির ৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এবং শিক্ষা উপকরণ প্রদানের মধ্য দিয়ে বরন করে নেওয়া হয় এবং শিশু শিক্ষার্থীর মায়েদের নিয়ে "মা সমাবেশ" অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ২ টি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং বিদ্যালয় গুলোর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আপেল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম ও ঝাপড়া কাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, এনডিপির প্রতিবন্ধিতা ও শিক্ষা কর্মসুচির উপব্যবস্থাপক শিপন চন্দ্র নাগ। সভায় বিদ্যালয়ের পিটিএ সদস্য, স্লিপ কমিটির সদস্য, স্যাক কমিটির সদস্য, অভিভাবক বৃন্দ, এসএমসির সদস্য সহ জমি দাতা ও সহকারী শিক্ষক গণ উপস্থিত হয়ে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় বিদ্যালয়ের শিক্ষারমান উন্নতিকল্পে বাৎসরিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়, শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করা, ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি নিশ্চিত করা,
পরিস্কার-পরিচ্ছনতা বিষয়ে, বিদ্যালয়ের শিক্ষারমান বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সহ বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে অভিভাবক গণ পরিদর্শন করা, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হচ্ছে কিনা তার খোজ খবর নেওয়া এবং মাঝে মাঝে শিক্ষকদের সাথে বাড়ী ভিজিটে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত সকলে কার্যক্রমের প্রসংশা করে বলেন উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে এনডিপি ও গণসাক্ষরতা অভিযান কর্তৃক বাস্তবায়িত আশা প্রজেক্টের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বা বিদ্যালযের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশুদেরকে বরন করে নেওয়ায় শিশুরা এবং তাদের অভিভাবক গণ আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রতি বছর করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।