নওগাঁ মহাদেবপুর প্রতিনিধি: এস এ উজ্জ্বলঃ
মহাদেবপুরে হঠাৎ করেই বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার হুশিয়ারী-ইউএনও’র। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মহাদেবপুর সদর, মাতাজীহাট, খাজুর বাজার, ছাতিয়ানতলী বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। পেঁয়াজের এ আকস্মিক দাম বৃদ্ধিতে চরম বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
প্রতি বছর রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। কিন্তু এ বছর রমজান মাসেই ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল পেঁয়াজের দাম। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, রমজান মাসে রাজধানী থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসন বাজার মনিটরিংয়ে ছিল স্বরব। ঈদের পরে বাজার মনিটরিং কিছুটা হলেও শিথিলতার কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে অবৈধ মজুদ করে নিজেদের ইচ্ছেমত বাজারে দাম বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের।
পেঁয়াজ উত্তোলন মৌসুমের শুরুতে এবার পেঁয়াজের দাম অত্যন্তই কম ছিল। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা। এতে প্রান্তিক কৃষক তার উৎপাদন খরচই তুলতে পারেনি।
এখন কৃষকদের ঘরে তেমন পেঁয়াজ নেই। প্রান্তিক কৃষকদের ঘরের পেঁয়াজ শেষ হওয়ার পরেই আড়ৎদাররা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সদরের একতা শস্য ভান্ডারের মালিক মো: ফয়জুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে পাইকারী বাজার থেকে ১ হাজার থেকে ১১শ টাকায় এক মণ পেঁয়াজ কেনা যেত।
এখন সে পেঁয়াজের দাম পাইকারী বাজারেই ২ হাজার থেকে ২২শ টাকা কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলেও তিনি জানান। আড়ৎদারদের অতিরিক্ত মজুদের কারণেও পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলেও বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো মনে করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ পেঁয়াজ মজুদ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।