বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বিপিএম ও পিপিএম পুরস্কার পেয়েছেন ৬২ পুলিশ সদস্য
মানবিক করিডোর নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি : প্রেস সচিব
নওগাঁয় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন
সলঙ্গায় কাজের মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে পিতা পুত্র আটক
সিরাজগঞ্জ পৌর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে দুর্নীতিবাজ বিচারকদের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জে শিক্ষকের উপর হামলাকারী জুয়েল ও রুবেলকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
সিরাজগঞ্জে শিক্ষার্থীকে গুলি, শিক্ষক অভিযুক্ত হলেও অব্যাহতি পেল অস্ত্র-ব্যবসায়ী সোহাগ
কামারখন্দে বোরোধানের সঠিক ফলন নির্ণয়ের নিমিত্তে নমুনা শস্য কর্তন ও  উত্তম কৃষি চর্চা বিষয়ক কৃষক  প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
রাজশাহী বিভাগীয় সিনিয়র রোভার মেট ও সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড ওয়ার্কশপ  সম্পন্ন  

বাংলাদেশে প্রথম পরিবেশ ও প্রকৃতির পাঠশালা গড়ে তুলেছেন বৃক্ষপ্রেমী মাহবুব পলাশ

মোঃ  হোসেন আলী ( ছোট্ট): ” পাঠশালা শিক্ষা লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ও স্থান। আর সেটা হয় যদি গাছের পাঠশালা আর সেখানে যদি প্রকৃতির সকল প্রকার উদ্ভিদ ও বৃক্ষপ্রজাতি সাজানো থাকে তাহলে আর কথাই থাকে না। এমনি এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন  বাংলাদেশে এই সর্ব প্রথম সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামে গড়ে ওঠা এই অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘পরিবেশ ও প্রকৃতির পাঠশালা এ পাঠশালায়  ৭০/৮০ জন বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়ে রয়েছে। এটি পরিচালনা করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ সংগ্রাহক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ।  একটি পাঠশালা, যেখানে বই-খাতার পরিবর্তে শিখিয়ে দেওয়া হয় গাছের ভাষা। শেখানো হয় প্রকৃতির সাথে সহাবস্থান, পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা।
বৃক্ষ প্রেমী মাহবুব পলাশ তাঁর নিজেস্ব বাগানে গুটগুটিয়া, রক্তন, রাতা, তুন, বৈলাম, সিভিট,মাল্লাম, বাজনা, মনিরাজ, সুন্দরী কাকড়া,গরান, চাপালিশ বরুন সহ ৩৪৫ প্রজাতির ছোট বড় মিলে প্রায় ৪ হাজার গাছ রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি জানান, এই পাঠশালায় শিক্ষার্থী হতে বয়স কোনো বাধা নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এখানে প্রকৃতির পাঠ গ্রহণ করতে পারেন। পাঠ্যসূচির মূল উপজীব্য হলো গাছপালা, বনায়ন ও পরিবেশ রক্ষা। পরিবেশবান্ধব এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো নারী দিবসে কন্যাসন্তানদের মাঝে একটি করে বৃক্ষ প্রদান।
মাহবুবুল ইসলাম পলাশ আরও জানান, কন্যাসন্তান কখনো সমাজের বোঝা নয়, বরং তারা দেশের সম্পদ। তাই প্রতিটি কন্যার হাতেই তুলে দেন এক একটি গাছের চারা যেন ভবিষ্যতে তারা নিজেদের সঙ্গে প্রকৃতির বন্ধনও গড়ে তুলতে পারে।অভিন্ন ‘পাঠশালা’ শুধু গাছ লাগানোই শেখায় না, বরং গাছের উপকারিতা থেকে শুরু করে প্রকৃতি সংরক্ষণের নানা দিক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের সব ধরনের গাছের সঙ্গে পরিচয়
করিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির আঙিনায় কীভাবে সবজি চাষ করা যায়, সেটিও শেখানো হয়। কোন গাছ কী কাজে লাগে, তা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়। কোন গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং কোন গাছ পরিবেশবান্ধব—এ সম্পর্কে সচেতন করা হয়। অতিথি পাখি শিকার না করা এবং কীটপতঙ্গের ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা হয়। ব্যাঙ ফসলের ক্ষতি করে না এমন সচেতনতা তৈরি করা হয়, যাতে কৃষকেরা অযথা ব্যাঙ হত্যা না করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, বরং আশপাশের মানুষকেও প্রকৃতিবান্ধব জীবনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করছেন বলেও তিনি জানায়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০