
ওয়াসিম সেখ,সিরাজগঞ্জঃ
যমুনা সেতু দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখায় নেই কোন ছাত্র-ছাত্রী তবুও পাচ্ছে সরকারি অনুদান এমন সংবাদ
দৈনিক সিরাজগঞ্জ সংবাদ নিউজ পোর্টালের প্রকাশের পর টনক নড়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের। ইতিমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে যমুনা সেতু দাখিল মাদ্রাসায় ভিজিট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ এলিজা পারভীন বলেন- আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সত্যতা পেয়েছি, আমরা তাদেরকে ৭ দিনের একটা আল্টিমেটাম দিয়েছি ।
প্রসঙ্গতঃ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৯নং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়িয়া কাদাই এর যমুনা সেতু দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখায় নেই কোন ছাত্র-ছাত্রী তবুও পাচ্ছে সরকারি অনুদান এমনটি অভিযোগ উঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে যমুনা সেতু দাখিল মাদ্রাসার ভুমিদাতা সদস্য, কাদাই (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম শেখ বলেন ইবতেদায়ী শাখায় ছাত্র-ছাত্রী নেই বললেই চলে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এসে পরিক্ষা দেওয়া হয়।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে আমি আপনাকে কোন তথ্য দিতে পারবো না, আপনি তো সবই দেখেছেন।
সহকারি শিক্ষক আজিজুল হক বলেন আমাদের ছাত্র-ছাত্রী কম, কিন্তু সবাই আসে না, কেউ আসে কেউ আসে না। এতে আমাদের কি করার আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে উপবৃত্তির টাকা দেয়,দুপুরে খাওয়া দেয় আমাদের প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি না পাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী কমে গেছে, প্রতিষ্ঠানে ১৮জন শিক্ষক রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় যে, ইবতেদায়ী শাখায় কাগজে কলমে ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও গত ২ দিন কোন ছাত্র-ছাত্রী পাওয়া যায় নাই, তবে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দাখিল পর্যন্ত প্রতি ক্লাস ঘুরে দেখা যায়, কোন ক্লাসে ১জন, ২জন,সর্বচো পাওয়া যায় ৮জন, হিসাব করে দেখা যায় সব ক্লাস মিলে ছাত্র-ছাত্রীর চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যায় বেশি। তাহলে এই প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে নতুন বই উত্তোলন করে, তবে সেই বইগুলো পড়ার মতো কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই, জানার ও ভাবার বিষয় তাহলে বইগুলো কোথায়?
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ এপ্রিল দৈনিক সিরাজগঞ্জ সংবাদসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশিত হয়।যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ এলিজা পারভীন।