
মোঃ হোসেন আলী ( ছোট্ট): যেতে নাহি দিব হায় তবু যেতে দিতে হয় তবু চলে যায়, ” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উক্তি বাণীকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ইসলামিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এস, আই, এম, এ রাজ্জাক মহোদয়ের অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ০৬ মে ২০২৫ খ্রি.) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের আই আই কলেজ রোডস্থ ইসলামিয়া সরকারি কলেজে,ইসলামিয়া সরকারি কলেজের আয়োজনে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃক
বিদায়ী সংবর্ধনায় শহরের মোক্তার পাড়া বাসা থেকে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এস, আই, এম, এ রাজ্জাক মহোদয়কে
সৌন্দর্য সাজে ফুলে ফুলে সজ্জিত গাঁড়ী করে কলেজের গেইটে এলে কলেজের পক্ষ থেকে রোভার স্কাউট দলের সদস্যরা তাকে গার্ড অব অর্নার ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা ও লাল গালিজা, প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনা সভা শুরু করা হয়। আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, আলোচনা সভা শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে ও বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এস, আই, এম, এ রাজ্জাককে ফুলেল শুভেচছা প্রদান করা হয়। বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অবসরজনিত বিদায় সন্মাননা ক্রেস্ট ও স্মারক হাতে তুলেদেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতি প্রফেসর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
বলেন, অবসরজনিত বিদায় আমাদের মনকে নাড়া দিয়েছে। বিষয়টা খুবই কষ্টের ও বেদনার । সে নিঃসন্দেহে একজন ভাল মানুষ ।বিদায় মানেই বেদনার। তবুও বেদনার দিনকেও স্মৃতিময় করতে নানান আয়োজন চলে সমাজে সকল ক্ষেত্রে। প্রতিটি মানুষের কর্মই তার সবচেয়ে বড় পরিচয়। তাই, আমাদের কর্মজীবনকে কল্যাণময় করতে হবে, তবেই মানব জীবনের স্বার্থকতা। একজন শিক্ষক ন্যায়পরায়ণতা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা বোধ ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেগেছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এস, আই, এম, এ রাজ্জাক।
বিদায়ী শিক্ষক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এস, আই, এম, এ রাজ্জাক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,আকাশে চন্দ্র সূর্য না থাকলেও একঝাঁক তারা থাকলে কিন্তু তখন আলোর প্রয়োজন হয় না। এই কলেজে এত গুলো উজ্জ্বল নক্ষত্র থাকলে এলাকায় অন্ধকার দূরীভূত হবে। তবে তাদেরকে আমরা আলোর বিকিরণের সময় সুযোগ ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। আজ আমি অত্যান্ত আবেগাপ্লুত আমার সহকর্মী শিক্ষকগণ ও ছাত্ররা যে গুনগান গেয়েছেন তা ততটুকু দিতে পারেনি । আমি বিবেকের কাছে বাঁধা। এখনো আমার প্রাণ কাঁদে। আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি উপাধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষক পরিষদ, ওসকল বিভাগের সকল শিক্ষক / শিক্ষিকাবৃন্দ, ছাত্র ছাত্রীরা আপনারা আজকে আমাকে যেভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা জানালেন এটা আমার মনে থাকবে আজীবন। সর্বপরী আপনার ভালো থাকবেন এবং আমার পরিবার ও আমার জন্য দোয়া করবেন। এই কলেজে এসে আমি অনেক কিছু পাইনি আমি সেইদিন থেকে সকলকে নিয়ে চেষ্টা করেছি যে এ কলেজ কে আরো উন্নয়ন করতে। আমি ইতিমধ্যেই এই কলেজেরের ছাত্রীদের কমন রুম, শিক্ষক পরিষদ হল রুম, সৌন্দর্য বর্ধন সহ প্রতিটি ক্লাস রুমকে এবং যে সকল বিভাগ রয়েছে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এবং এই কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কলেজে ইতিমধ্যে ছয় তলা বিজ্ঞান ভবন সে কাজ চলছে। কলেজের মূল ফটকে সৌন্দর্য পূর্ণ গেইট নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যহর আলী, ,দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আবদুল ওয়াহাব মিয়া, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শাহীন কবীর,
বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজুম আরা, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মির্জা সুলতান মাহমুদ, প্রভাষক মোঃ আকরামুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মতিন, হাবিবা আক্তার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছাঃ খাদিজা সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস জাহান, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক তানিয়া সুলতানা, আরবী বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুল্লাহ সেখ, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক রুহল আমিন, পদার্থ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবু তসলহা, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ শাহীন রেজা, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ তাসমিম নাহার লাকি, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম, , ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মোঃ শরিফুল ইসলাম, প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি যৌথ ভাবে সঞ্চালনা করেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মোঃ ইসমাইল হোসেন,বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রিপন,