
মোঃ হোসেন আলী ( ছোট্ট): অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন,গ্রাম আদালতের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।গ্রাম আদালতে সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক বিচার পায় সেদিক লক্ষ্য রাখতে হবে।গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম অতি দ্রুত সম্পাদন হয় সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে।সাধারণ মানুষেরা গ্রাম আদালতে সঠিক ভাবে বিচার না পাওয়াতে আদালতের দারস্ত হয়ে থাকে । এতে করে মামলা দিনে দিনে প্রচুর আকারে বাড়ছে যা বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা। আমরা দেখেছি জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেপথ্যে থেকে ছাত্র-জনতা আনন্দোলনে পরে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ মামলা বা ভিন্ন কারণে অনুপস্থিত থাকায় সেইখানে আমরা প্যানেল চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কথা বলেন তিনি
” সিরাজগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার – প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ০৬ মে ২০২৫ খ্রি.) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার – প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। স্থানীয় অংশেজনদের সাথে সমন্বয় সভায় প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প,সিরাজগঞ্জের জেলা ব্যবস্হাপক মোঃ আব্দুল হান্নান,।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশন সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহাম্মেদ,
ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী রইস উদ্দিন, মহিলা অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা, সহ – জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি, ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, এই সভায় বক্তারা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত এবং সুলভ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা তুলে ধরা হয়। এছাড়াও, গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক করতে জনসচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।
এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।