
ওয়াসিম সেখ, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর নিজ গ্রাম সড়াতৈল কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) রাত ১০ টার দিকে সড়াতৈল কবরস্থান মাঠে জানাজা নামাজের ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম।
সাম্যর মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি নেমে এসেছে শোকের মাতম। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধব। সাম্য সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামের মো. ফরহাদ সরদারের ছেলে।
উল্লেখ- গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাম্যরা ছিলেন চার ভাই তার মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার মা কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন এবং শাহবাগ থানার পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেন।
জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বনি আমিন, বেলকুচি উপজেলা জামায়াতে ইমসলামীর, আমীর আরিফুল ইসলাম সোহেল। পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী ভূইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরে আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য, সেলিম খান লিটন, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবর আলী, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিজন আহমেদ, উপজেলা বৈষময় বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুসা হাসমী, উপজেলা পাবলিক ইউনিভার্সিটির সচিব বুনুন, সাব্বির আহমেদসহ অন্য সদস্যবৃন্দ। এর আগে দুপুরে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।