নজরুল ইসলাম:
লিচু চুরির অপবাদে সিরাজগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নাঈম (১১) নামের এক শিশুকে মারধরের ভিডিও ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ভাইরাল ও জেলাজুড়ে আলোচনায় আসলেও জেলায় শিশু নির্যাতন প্রতিরোধকারী সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থা এগিয়ে না আশায় হতাশা হয়ে নিজের ভিটেমাটি ফেলে ওই শিশুসহ ভুক্তভোগীর পরিবার ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেও কোন প্রতিকার না মেলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলার সদর উপজেলায় শিয়ালকোল ইউনিয়নের খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাঈমের মা হুসনা খাতুন বলেন, গত সপ্তাহে পিতৃহারা এতিম নাঈমকে মারধর করার প্রমান পেলেও গ্রাম্য শালিসে কোন বিচার পায়নি। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ৪দিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এ পর্যন্ত থানা থেকে কোন পদক্ষেপ বা নির্যাতন প্রতিরোধকারী কোন সংস্থা আসেনি। সন্ত্রাসী ফারুক ও তার দলবল নিয়ে বাড়ীতে প্রতিদিন নানান হুমকি দিয়ে আসছে। যে কোন সময় আমার সন্তানকে গুম করে মেরে ফেলতে পারে। এছাড়া ভিডিও তে মারধর করার সময় মেরে ফেলার কথাও বলেছে। ঘটনার আটদিন পর গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যার পর আমাকে ও আমার সন্তানকে না ঢেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানতে পারলাম। এদিকে গ্রামের মুরুব্বীরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাপ সৃষ্টি করছে। তাঁদের কথা না শুনলে এলাকায় থাকতে দিবে না। যার কারনে আমি ঢাকায় গিয়ে বাসা বাড়ীতে কাজকর্ম করে আমার ছেলেক লেখাপড়া করাতে চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নজরে দিন। তারপরেও আমি থানায় বলে দিচ্ছি। আশা করছি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে।