
মোঃ হোসেন আলী (ছোট্ট): “নিয়মিত ভূমি উনয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি, এই প্রতিপাদ্যকে রেখে সিরাজগঞ্জে ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির সর্বোওম ব্যবহারের মাধ্যমে জনবান্ধন ভূমিসেবা নিশ্চিতকরণে লক্ষে ভূমি সপ্তাহ ২৫-২৭ পর্যন্ত ২০২৫ এর সফলভাবে সমাপ্তি হলো ভূমি সপ্তাহ সন্তুষ্ট সেবা গৃহিতারা ও সাধারণ জনসাধারণ।
মঙ্গলবার ( ২৭ মে, ২০২৫) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর ভূমি অফিস চত্বরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসের বাস্তবায়নে এবং ভূমি মন্ত্রণাোলয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সহযোগিতায় ভূমি সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফান নজমু,।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কার্যালয়ের কানুনগো মোঃ শামিম রেজা, সার্ভেয়ার মো: মাহবুবুল আলম, নাজির কাম ক্যাশিয়ার
মোঃ আল আমীন শেখ,কম্পিউটার অপারেটর মোঃ রাকিব হোসেন সরকার,ক্রেডিট চেকিং কাম- সায়রাত সহকারী মোঃ রুহুল আমীন, সার্টিফিকেট পেশকার মোঃ মনিরুল ইসলাম,
প্রমুখ। ভূমি সপ্তাহ তৃতীয় দিনে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতা সদর উপজেলার উম্মে সফুরা খাতন বলেন,সেবা সপ্তাহে সরাসরি অংশগ্রহণ করে আমি দেখতে পারলাম আগের দিনের চাইতে বহু নাগরিক ভূমি অফিসের পরিবর্তনশীল কর্মপদ্ধতি দেখতে পারছি। পূর্বের জটিলতা ও হয়রানির বদলে এখন অনেক সহজ, স্বচ্ছ ও মানবিক পরিবেশে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাচ্ছে।এই সেবা সপ্তাহ যেনো প্রমাণ করলো, যদি প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকে এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, তবে সরকারি সেবাও হয়ে উঠতে পারে আস্থার অন্য নাম। সচেতনতা, সরলতা ও সমানাধিকারে বিশ্বাসী এই আয়োজনটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মানুষের হৃদয়ে এক ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে গেলো।এসব আয়োজন ছিলো নতুন প্রজন্মকে ভূমি অধিকারের বিষয়ে শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা।
আমি জমি খারিজ করতে এসে সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ পেলাম সেবা পেয়ে আমি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফান নজমু, স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফান নজমু,তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতোমধ্যে সারাদেশে চালু করা হয়েছে ই-মিউটেশন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সিস্টেম, ডিজিটাল রেকর্ডরুম, ডাকযোগে পচা প্রাপ্তি ইত্যাদি। এর ফলে সাধারণ নাগরিকগণ ভূমি অফিসে না এসেও অনলাইনে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে নামজারীর আবেদন, নামজারীকৃত খতিয়ান, পর্চার সার্টিফাইড কপি, মৌজা ম্যাপের আবেদন, ভূমি উন্নয়ন কর এর ডিসিআর কপি সংগ্রহ করতে পারছেন এবং পরিশোধ করতে পারছেন ভূমি উন্নয়ন কর। এছাড়াও ঘরে বসেই ডাকযোগে নাগরিকগণ পর্চার অনুলিপি গ্রহণ করতে পারছেন।তিনদিনব্যাপী এই ভূমি সপ্তাহে ছিলো তথ্যকেন্দ্র কাম –ভূমি সেবা বুথ ও হেল্পডেস্ক, ই – নামজারী, ও ভূমি উন্নয়ন কর, এই আয়োজনে আমরা প্রায় ৬ শত জন সেবা গৃহিতাদের এ ভূমি সেবা প্রদান করেছি। আমরা ভূমি অফিসের সেবা ক্যাম্পগুলোতে সাধারণ মানুষের মাঝে নামজারি, ই-নামজারি, খারিজ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের পদ্ধতি, বকেয়া করের পরিণতি ও মামলা প্রক্রিয়া, খাস জমি উদ্ধার এবং সরকারি খালের জায়গা দখলমুক্ত রাখার গুরুত্ব বিষয়ে বিশদ পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেছি ।সেবা ক্যাম্প ও প্রচার কার্যক্রম শুধু উপজেলা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিলো না, বরং বিভিন্ন ইউনিয়নেও এই সেবা পৌঁছে দেওয়া হয়, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও উপকৃত হন। ভূমি সেবায় শতভাগ হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করা, দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন ও সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ভূমি অফিসসহ সর্বোচ্চ রাজস্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেবা দেয়া হয়।
এ সময়ে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, সেবা গ্রহীতা ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য ঃ ডিসিআর ও খতিয়ান দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়াকে সেবাকে ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব ভূমি সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছেছিলো এবারের ভূমি সপ্তাহে। এ ছাড়াও ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশন, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারও প্রচারণা এবং ভূমি সেবা সংক্রান্ত বুকলেট ও লিফলেট বিতরণ ইত্যাদি এই ভূমি সপ্তাহে।