সোমবার, ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
সলঙ্গায় রহিমাবাদ সামাজিক উন্নয়ন সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 
রায়গঞ্জে ইসলামী দলসমূহের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
তাড়াশে আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ডুবল বোরো ধান
উল্লাপাড়ায় সামাজিক সংগঠন “স্বাধীন সোসাইটি”এর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
উল্লাপাড়ায় অসুস্থ জুবায়েরকে আর্থিক সহযোগিতা করলেন- জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওঃ রাফিকুল ইসলাম খান
পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা টোল আদায়
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন
ঠাকুরগাঁওয়ে মহাসড়কে নেই সুরক্ষা পিলার,বিপদে ১৪টি পরিবার 
তাড়াশে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চুরি: স্বর্ণালংকার,নগদ টাকা ও জমির দলিল লুট
শিয়ালকোলে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

তাড়াশে আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ডুবল বোরো ধান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে চলনবিলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নাবি জাতের ইরি বোরো ধান ডুবে গেছে। ফলে কৃষকের কোরবানি ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।

আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে গেছে। ফলে ডুবে যাওয়া ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে হারভেস্টার মেশিন এনে ধান কাটার চেষ্টা করছে। কিন্তু পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সে চেষ্টাও বিফলে গেছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ এলাকার কৃষক মো. আজগার আলী সাত বিঘা জমিতে ব্রি- ২৯ জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। ঈদের পর পরই সে ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র তিন দিনের ভারী বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার জমির ধান ডুবে যাচ্ছে। যদিও কোমর সমান পানিতে উচ্চ মূল্যের পারিশ্রমিক দিয়ে কৃষি শ্রমিকরা কিছু ধান কেটে পলিথিনের নৌকা বানিয়ে নিকটবর্তী পাকা সড়কে ধান তুললেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ওই কৃষকের পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধানও জুটবেনা এমন ভাষ্য তার। আবার এ অঞ্চলের অনেকে কৃষি শ্রমিক না পেয়ে বা ধান ডুবে যাওয়ায় মোট জমির এক মুঠো বোরো ধান কাটতেও পারছেন না বলেও জানান ভুক্তভোগী কৃষক রাফী। তিনি জানান, তবে আগাম জাতের বোরো ধান আবাদ করা কৃষকেরা আকস্মিক বন্যার ১২ থেকে ১৫ দিন পূর্বেই কাটা শেষ করেছেন।

তাড়াশের ঘরগ্রাম এলাকার কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, তাড়াশ উপজেলার সগুনা, মাগুড়াবিনোদ ও নওগাঁ ইউনিয়ন এলাকার কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের পাকা বোরো ধানের জমিতে এখন হাঁটু বা কোমড় সমান পানি আছে।

জানা গেছে, চলনবিলের আটটি উপজেলার একইরকম অবস্থা। আকস্মিক বন্যায় সব ধান পানিতে ডুবে গেছে। 

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রকৃতির ওপর কারো হাত নেই। তারপরও যতটুকু পারা যায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের চেষ্টা চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেন তিনি। (সুত্র-সমকাল)

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০