
বায়েজিদ হোসেন,উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের বালশাবাড়ী মানুষমুড়া (ইসলামপুর) গ্রামে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মানুষমুড়া গ্রামের আবুল মিয়া অভিযোগ করেছেন, তার বসতবাড়ির সীমানায় অবৈধভাবে ছাপড়া ঘর তুলে খড়, ঘষি, খড়ি রেখে জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন প্রতিবেশী মো. শাহজাহান, মো. নুর নবী, মো. আনোয়ার হোসেন, শাসছুল প্রাং, আতাউর রহমান ও শাহাদত আলীসহ কয়েকজন।
এ বিষয়ে আবুল মিয়া উল্লাপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ শ্যামপুর মৌজার মানুষমুড়া গ্রামে পরিবারসহ বসবাস করছেন। সম্প্রতি তার বসতবাড়ির পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনেরা সীমানা অতিক্রম করে দুটি ছাপড়া ঘর তোলে ও বিভিন্ন মালামাল রেখে পরিবেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলে।
এ অবস্থায় আবুল মিয়া একাধিকবার আমিন এনে মাপজোখ করান, কিন্তু প্রতিপক্ষরা কোনো কর্ণপাত করেনি। বরং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় দূর্গানগর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে জানালে, চেয়ারম্যান গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন।
সালিশে দুইজন অভিজ্ঞ আমিন দ্বারা মাপজোখ করা হলে প্রমাণ মেলে—ছাপড়া ঘর ও মালামাল আবুল মিয়ার সীমানার মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৭ দিনের মধ্যে এসব সরিয়ে নিতে প্রতিপক্ষদের নির্দেশ দেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষরা সেই নির্দেশ অমান্য করে এখনও দখল বজায় রেখেছে।
এ বিষয়ে দূর্গানগর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি। জায়গাটি আবুল মিয়ার বলেই প্রমাণ মিলেছে। তাই প্রতিপক্ষদের ঘর, খড়, খড়ি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।”
অন্যদিকে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, “আমরা জানি জায়গাটি আবুলের। কিন্তু ঘরটি সরিয়ে রাখব কোথায়? আমাদের নিজেদের জায়গা অন্য একজন দখল করে রেখেছে। ওরা যদি সরে যায়, তাহলে আমরা সরিয়ে নেব।”
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।