
নজরুল ইসলাম:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় সালিসে ২লাখ ৫০ হাজার টাকায় দফারফা হলেও ভুক্তভোগীর পরিবারকে সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া হয়নি। এ অর্থের সাথে বিএনপির নেতাকর্মী যুক্ত থাকায় ভুক্তভোগীর পরিবারের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের ভয়ে ওই ভুক্তভোগীর পরিবার পলাতক রয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের না করতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম পবিত্র শীল (২১)। তিনি কামারখন্দ উপজেলার পার পাইকোশা মুচিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১জুন) বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজে ক্লাশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দেখা করে পাইকোশা পবিত্রর একটি বাড়ীতে নিয়ে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যেরা পাশে দাঁড়িয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ফিরে দেন। পরে জানতে পারেন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাড়ীর আশেপাশে তাঁদের পালিত গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে জানাজানি ও নানান মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সমাজে হেয়পন্ন ও নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, পত্রিকায় প্রকাশের পর ওই হিন্দু যুবকের বাড়ীতে যাওয়া হয়েছিল কিন্তুু কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।