
শান্ত পাহান, ঠাকুরগাঁওঃ মানুষ যতই বড়ো হোক মায়ের প্রতি ভালোবাসা একটুও কমে না। আমার মায়ের কাছে আমি এখনো অনেক ছোট। মা ও সন্তানের এই ভালোবাসা চিরকাল অমলিন থাকে।
মায়ের মতো আপন কেহ নেই। মমতাময়ী মা আছে বলেই সন্তানের চোখে এই পৃথিবী এত সুন্দর। মা ও সন্তানের মধ্যে আছে নিবিড় এক ভালোবাসার বন্ধন। মা নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন তার সন্তানকে। সন্তানের কাছে মায়ের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এক পরম প্রাপ্তি। মায়ের এই ভালোবাসার প্রতিদান কোনোভাবেই দেয়া যায় না। প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে মা ও সন্তানের ভালোবাসা প্রবাহমান নদীর মতো বয়ে চলে। তবুও বছরের একটি বিশেষ দিনে মাকে ভালোবাসা জানানো সন্তানের মনে এক স্বর্গীয় অনুভূতি এনে দেয়।
এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা মা বাবার বেশি বয়স হয়ে গেলে বৃদ্ধা আশ্রমে পাঠিয়ে দেন। এই যেনো তাদের মা নামের জননী মাথার একটি বোঝা। এখানে বুঝার বিষয় হলো যে মা আপনাকে আমাকে কত কষ্ট করে লালনপালন করে মানুষের মতো মানুষ গড়ে তুলেছেন। কিন্তু যখন আমাদের মতো বিশ্বাসঘাতক বা কুপুত্র ছেলেরা এই মা জননীর সাথে বেইমানি করে তখন এই মা জননী অনেক কষ্ট পাই। আমরা এই মা জননী কষ্টটা কেউ উপলব্ধি করতে পারি না। হাই রে পৃথিবীরা লক্ষ কোটি সন্তানরা যে মা জননী ৯- ১০ মাস প্রস্রব যত্ননা কষ্ট সহ্য করে এই পৃথিবীর মুখ দেখান। এবং যে মা জননীর দুধ পান করে আপনি আমি সবাই মানুষ হয়েছি। সেই মাকে আপনি আমি অবহেলা করতেছি। আসল কথা হলো মা জননীর দুধ পানের হিসাব এই পৃথিবীর কোন জিনিস সাথে করা যায় না। যেমন রাতের আকাশে তারা গুণে শেষ করা যায় না ঠিক তেমনি মা জননীর দুধ পানের হিসাবে কেউ দিতে পারবে না। আজকাল যুগের ছেলেরা এই মানুষের দুধ হিসাব বা মা যে কষ্ট সহ্য করে লালনপালন করেছে এই কথা কেউ মাথায় রাখেন না। তারা রাখেন এই পৃথিবীতে কি করে একটা সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসা যায় সেটা নিয়ে। মা জননীর কথা ভাবার মতো সময় নেই কারো। যদিও মা বাবা সন্তানদের বিয়ে দিয়ে দেন তখন সন্তান সুন্দরী বউকে পেয়ে মা বাবা ভুলে গিয়ে স্ত্রী প্রতি বেশি ভালোবাসার জালে বন্দী হয়ে পড়েন। এই স্ত্রী জন্য সন্তানরা মা জননীকে বৃদ্ধা আশ্রমে পাঠিয়ে দেন এবং কোন কোন সন্তান রয়েছে যারা মা জননীর কাঁধে একটা ভিক্ষা থলি দিয়ে ভিক্ষা করতে পাঠিয়ে দেন। এই আমাদের দেশের সন্তানদের স্বভাব দেখা যায়। বাকি সব সন্তানদের থেকে এমন মায়ের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা গল্প বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রাণীশংকৈল শাখা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক পেয়ার আলীর। পেয়ার আলী বলেন, আমরা মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন আমি আমার মা জননীর যত্ন করি এবং মা জননী যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে যান তার জন্য আমি ডাক্তার কাছ থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে যায়। এবং ফলের দোকান থেকে আপেল, কমলা, আঙ্গুর, সহ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলমূল। দেশবাসীর কাছে আমি অনুরোধ করবো এই রকম সাংবাদিক পেয়ার আলীর মায়ের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা আমাদের সবার মধ্যে থাকা উচিত। এবং মা জননীকে বৃদ্ধা আশ্রমে না পাঠিয়ে বুকের মধ্যে ঠাই দিতে হবে। তাহলে আপনাক আমাকে সকল বিপদ- আপদ থেকে মহান সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করবে। আর যদি মা জননী কে কষ্ট দেন তাহলে কষ্টভরা দুঃখ নিয়ে সারাজীবন ধরে কাটাতে হবে এই পৃথিবীতে। আমার লেখায় যদি কোন ভূল ক্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে আপনারা সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।