
মোঃ হোসেন আলী (ছোট্ট): ” প্লাস্টিক দুর্ষণ আর না, প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জন করি, পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষ রোপন করি”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায়ে সিরাজগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র – ছাত্রীদের মাঝে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে চিত্রঅংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও বিনামূল্যে ফলজ, বনজ, ও ঔষধি গাছের চারা বৃক্ষ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, ও সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের শাহপাড়ায়, পরিবেশ ও প্রকৃতির পাঠশালার ছাত্র ছাত্রীদের আয়োজনে –জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কালেক্টরেট চত্বরে থেকে এক বনার্ঢ্য র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কালেক্টরেট চত্বর এসে শেষ হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে গাছের চারা ও কালেক্টরেট চত্বর গাছের চারা রোপণও বনার্ঢ্য র্যালীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গনপতিরায়,এবং বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরণ শেষে পৌর শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সামনে বৃক্ষ রোপন করা হয়। বৃক্ষ রোপন করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফান নজমু,সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান বৃক্ষ প্রেমী মাহবুব পলাশ তিনি
“গত ২৫ বছর ধরে পরিবেশ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, বৃক্ষরোপণ, প্লাস্টিক বর্জন হ্রাস, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি সমাজে পরিবেশবান্ধব একটি চিন্তাধারা গড়ে তুলেছেন। তাঁর এই দীর্ঘ সময়ের অবদান আমাদের জন্য অনুকরণীয়।”
গত ২৫ বছর ধরে তিনি পরিবেশ রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই দীর্ঘ সময়ের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বৃক্ষরোপণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সচেতনতা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান।
তিনি নিয়মিতভাবে পরিবেশ বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার এবং জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় তাঁর উদ্যোগসমূহ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এত বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিবেশ রক্ষায় তার অবদান আমাদের জন্য অনুকরণীয় ও প্রশংসনীয়। তার কাজ কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম,স্মার্ট বয়েজ ও স্মার্ট ট্যুরিজম, প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক,আসলাম উদ্দিন,উল্লেখ্য ঃবৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার–২০২২ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় তাঁর দুষ্প্রাপ্য ও বিপন্ন প্রজাতির বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ ও উদ্ভাবনের অবদানের কারণে “ছ” শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পুরস্কারটি বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ ও উদ্ভাবন বিভাগে দেয়া হয়। জাতীয় কৃষি পুরস্কার জাতীয় কৃষি পুরস্কার–১৪২৬
বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কৃষি ও অর্থনীতিতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেন।
এ ছারাও তিনি বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি ১০০ টি পুরষ্কার রয়েছেন তার জীবনে। ২৫ বছর এ প্রায় ৫০ /৬০ হাজার বৃক্ষ বিনামূল্যে রোপন করেছেন মাহবুবুল ইসলাম পলাশ পরিবেশ রক্ষায়। মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন সিরাজগঞ্জের উদ্যমী কৃষি উদ্যোক্তা, পরিবেশ-সচেতন ও বৃক্ষপ্রেমী ব্যক্তি। তার কর্মকাণ্ড ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো পরিবেশ ও বৃক্ষরোপণ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামে তাঁর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘বিরল বৃক্ষ ও নবান্ন কৃষি খামার’, যেখানে ৩০০–৩৪৫ প্রজাতির প্রায় ৪ হাজার বিরল, বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষ রয়েছে।২০০৩ সাল থেকে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে শত শত বৃক্ষ রোপণ ও বিনামূল্যে বিতরণ চালিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে আনুমানিক ৫০ হাজার গাছ রোপণ করেছেন। গড়ে তুলেছেন একটি ‘পরিবেশ ও প্রকৃতির পাঠশালা’, যেখানে শিশুসহ সবাই গাছের যত্ন, প্রজাতি ও ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারেন । কৃষি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারন সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো ‘বারি‑১’ জাতের জিরা (স্পাইস) চাষ শুরু করেন পরীক্ষামূলকভাবে।
১০ শতাংশ জমিতে বপন করে ২০ কেজি ফলনের আশায় রয়েছেন, যা বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় হতে পারে । সফল হলে তিনি স্থানীয় কৃষকদের জন্য বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পরিকল্পনায় রয়েছে ৬৪ জেলার প্রতিটি উপজেলায় বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া। বড় স্বপ্নের মধ্যে রয়েছে একটি ‘কৃষি‑জাদুঘর’ ও গাছ সংরক্ষণের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার স্থাপন করা ।
মাহবুবুল ইসলাম পলাশ বাংলাদেশের একজন কৃষি উদ্যোক্তা ও পরিবেশ-প্রেমী ব্যক্তি, যিনি বিরল বৃক্ষ সংরক্ষণ, কৃষিতে উদ্ভাবন ও শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তার কাজগুলো জাতীয়ভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। জিরা চাষ ও গাছ রোপণের মাধ্যমে তিনি ন্যূনতম খরচে স্বশক্ত ও টেকসই কৃষি সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছেন।
আপনি যদি আরও জানতে চান যেমন তার খামারের ঠিকানা, বই বা প্রকাশনা তাহলে সাহায্য করতে সবসময় প্রস্তুত।