শুক্রবার, ২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নাটোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা,কেন্দ্র সচিবকে শোকজ,ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
নাটোরে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে,ইট দিয়ে শিশুকে খুন
বেলকুচিতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত
শিশু ও কিশোরদের খেলাধূলায় উৎসাহ দিতে ফুটবল উপহার দিলেন- সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান
বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার মাদককে ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছে- বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু
সামাজিক ব্যবসা মাধ্যমে ‘একটি সুন্দর ও উন্নত বিশ্ব’ গড়ে তোলা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা
রায়গঞ্জে জামায়াতের রুকন শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসারের বদলীজনিত এবং অতিরিক্ত কৃষি অফিসারের পদোন্নতিজনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান 
যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেললাইন
রানীশংকৈলে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

নাটোরে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে,ইট দিয়ে শিশুকে খুন

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

নাটোরের বড়াইগ্রামে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১২ বছর বয়সের এক শিশুর হাতে মিনহাজ হোসেন আবির (৯) নামে আরেক শিশু খুন হয়েছে। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করে অভিযুক্ত অপর শিশু হযরত আলী।

শুক্রবার (২৭ জুন ২০২৫খ্রিঃ) সকালে হযরত আলীকে (১২) গ্রেপ্তার করে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বনপাড়া পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন নির্মাণাধীন মসলা মিলের ফাঁকা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবির উপজেলার মহিষভাঙ্গা মহল্লার কাতার প্রবাসী মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অভিযুক্ত হযরত আলী একই গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। সে মহিষভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের তথ্য জানান।

নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে আবির তার বাবার ব্যবহৃত স্মার্টফোন ও তার বাইসাইকেলটি নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সন্ধ্যায় তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাতে স্বজনরা পাশের মসলা মিলের ফাঁকা মাঠে প্রথমে তার রক্তমাখা বাইসাইকেল ও স্যান্ডেলসহ আবিরের মাথা থেঁতলানো লাশ পান।

থানা ও প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, বিকেলে আবির ও হযরত একসঙ্গে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল। এ সময় খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সাইকেল ফেলে রেখে কিছুদূরে গেলে হযরত পাশে পড়ে থাকা ইট দিয়ে আবিরের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে হযরত তাকে পাশেই ভুট্টার শুকনা গাছের পালার নিচে লুকিয়ে রেখে মোবাইলটি নিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সকালে পুলিশ হযরতকে গ্রেপ্তার করলে সে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য জানায়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই বাড়ি থেকে আবিরের মোবাইলটি জব্দ করা হয়।

নিহতের পিতা মিলন হোসেন জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর থেকে ছেলেটা বেশিরভাগ সময় আমার সাঙ্গেই থাকত। গতকাল মোবাইল ও সাইকেল নিয়ে সে ঘুরতে যায়। আমি বাড়িতে থেকেও আমার সন্তানকে নিরাপদ জীবন দিতে পারলাম না- এ দুঃখ আমি রাখি কোথায়?

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন কালবেলাকে জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। শুক্রবার ওই শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের লাশ শুক্রবার ময়নাতদন্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০