
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রের একশ গজের মধ্যে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়। তবে নাটোরের বড়াইগ্রামে ছাত্রদল নেতার এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিব সরদারকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
উপজেলার বনপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রদল নেতা রাকিব সরদার কেন্দ্রে প্রবেশ করেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
রাকিব সরদার বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব সরদার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রের একশ গজের মধ্যে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়। তারপরও কেউ কেন্দ্রের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে; কিন্তু এ আইনের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে বনপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে প্রবেশ করেন রাকিব সরদার। পরে পরীক্ষার কক্ষে তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন- এমন একাধিক ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে রাকিব সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার চাচাতো বোনকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে যাই। এ সময় তাকে আসন দেখিয়ে দিতে গেলে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছবি তুলে ছড়িয়ে দিয়েছে।
কেন্দ্র সচিব উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, খাতা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা ওএমআর শিট পূরণ করার সময়ে ওই ছাত্রদল নেতা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তখনও প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তিনি ৯টা ৪০ মিনিটে বনপাড়া কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কক্ষ পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। তবে আসন দেখিয়ে দিতে রাকিব সরদার নামে এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৪৪ ধারা অমান্য করায় ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে বলা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।