আলী আশরাফ,সিরাজগঞ্জ :
'নদী ভাঙ্গন ঠেকাও, ছোনগাছা ইউনিয়ন বাঁচাও'' শ্লোগানকে সামনে নিয়ে যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরী, পারপাঁচিল, সিমলা ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনবয়ড়া,পাঁচিল ও দৌলতপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে ক্রসবার নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(২৮ জুন ২০২৫), শনিবার সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের যমুনা নদীপাড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ছোনগাছা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, ১৯৯৬ সালের পুর্বে ভাঙ্গনরোধে ৪টি বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। যমুনা নদীতে তা বিলীন হয়ে গেছে। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কোন কার্যক্রম গ্রহন করেনি। ইতিমধ্য ২ হাজার মিটার পর্যন্ত এরিয়া গ্রামের নদীগর্ভে গ্রাম, ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার সময়ে গ্রামবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। ছোনগাছা ইউনিয়নের যমুনা ভাঙ্গনরোধে ক্রসবার নির্মান করার উদ্যোগ গ্রহন না করলে লক্ষাধিক জনসাধারকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দিব।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ- দফতর সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক শেখ মো: এনামুল হক বলেন, আমাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারনে এই ভাঙন তীব্র হয়েছে। তারা যদি শুষ্ক মৌসুমে জিওব্যাগ ডাম্পিং করতো, তবে ভাঙ্গনরোধে অনেকটাই কার্যকর হত। বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগ ডাম্পিং করার কোন ভাল ফলাফল আসছে না। পানি উন্নয়নবোর্ডের কর্মকর্তারা সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ ভাঙন রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্তবর্তী সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি অতিদ্রুত ছোনগাছা ইউনিয়নের ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরী, পারপাঁচিল, সিমলা ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনবয়ড়া, পাঁচিল, দৌলতপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে ক্রসবার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হউক।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, মাও: মোখলেছুর রহমান মুকুল, মটিয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাদশা আলম, বাচ্চু, নাসিম রেজা, শামীম রেজা, হোসাইন আহম্মেদ সোহাগ, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ছোনগাছা ব ব্রাহ্মণবয়ড়া,পাঁচিল,দৌলতপুর গ্রামের সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।