
মোঃ হোসেন আলী (ছোট্ট) :
নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যার মূল লক্ষ্য হলো সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া নারী ও শিশুদের উন্নয়ন। এই সংস্থা দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করে একটি বড় ভূমিকা পালন করছেন রাজশাহী জেলার কয়েরদাঁড়া খ্রিস্টানপাড়া, বোয়ালিয়া, সপুরা রাজশাহী আদিবাসী নারী সুমী সুমী মুর্মু তিনি অবহেলিত নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে চান।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত নারীদের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্যের কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারে না। তিনি নিজে উদ্যোগে নারী ও শিশু কল্যান সংস্থাটি।দাঁড় করেছেন। এসব শিশুদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়, প্রয়োজনীয় বই, খাতা, পেনসিলসহ সকল শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে এবং যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা করে। তিনি আগামী ২০২৬ সাল থেকে নিজস্ব স্কুল করার চিন্তা রয়েছে। এছাড়াও, এই সংস্থা শিশুদের মানসিক বিকাশ, স্বাস্থ্য সচেতনতা, এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদানেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তারা নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য ক্যাম্প, পুষ্টি সচেতনতা কর্মসূচি এবং শিশুদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার আয়োজন করে।
নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থার এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। তারা শুধু শিক্ষা নয়, বরং একটি সুস্থ, সচেতন এবং স্বনির্ভর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথ তৈরি করছে।
প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের উচিত এ ধরনের উদ্যোগকে সহযোগিতা করা, যাতে সমাজের প্রত্যেক শিশু শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে। এবং আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। কেবল সংখ্যায় নয়, মেধার দিক থেকেও মেয়েরা অগ্রসর হয়েছে। এখন আর কোনো পরিবারে কেবল ছেলেশিশু ‘জন্মানোর’ জন্যই কেউ অপেক্ষা করে থাকে না। কোনো পরিবারে মেয়েশিশুকে ‘লেখাপড়া করানো হবে না’, এমন অবস্থাও আর নেই। শ্রমিক, ভূমিহীন ও দরিদ্র পরিবারেও মেয়েকে শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমাজে কোথাও কাউকে দেখা যায় না যে নিজে থেকে নিজ উদ্যোগে বিনা টাকায় পড়ালেখার সু- ব্যবস্থা করে। কিন্ত একজন সুন্দর মনের অধিকারী নারী রাজশাহী জেলার কয়েরদাঁড়া খ্রিস্টানপাড়া, বোয়ালিয়া, সপুরা রাজশাহী আদিবাসী নারী সুমী মুর্মু নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও এগিয়ে যাবেন সুমী মুর্মু রাজশাহীর কয়েরদাঁড়া খ্রিস্টানপাড়ার আদিবাসী নারী সুমী মুর্মু নিজের সীমিত সামর্থ্য নিয়েই গড়ে তুলেছেন “নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান, যেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যতের মানুষ।
এই সংগঠনটির মাধ্যমে তিনি।দরিদ্র শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মানসিক বিকাশমূলক কর্মসূচি। এই সংগঠনটি নিরবে কাজ করলেও, এর প্রভাব গভীর ও সুদূরপ্রসারী। সমাজের যেসব শিশুরা কখনো স্কুলের গেট পার হতে পারত না, সুমীর হাতে তারা পেয়ে যাচ্ছে নতুন জীবনের চাবিকাঠি।
সুমী আরো বলেন- সারাদেশে দরিদ্র শিশুদের নিয়ে অনেক বেসরকারি সংগঠন সাহায্য ,সহযোগিতার হাত বাড়ালেও দিনশেষে তাদের পথেই ফিরে যেতে হয়। তাদের পুরোপুরি পুনর্বাসনের জন্য খুব বেশি উদ্যোগ নেই। দেশে অনেক বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ আছে এই পথশিশুদের জন্য। সরকারি কিছু উদ্যোগও আছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগই টেকসই নয়। এটা ঘায়ে মলম দেয়ার মতো। আসলে তাদের দরকার স্থায়ী পুনর্বাসন। ফ্যামিলি অ্যাটাচমেন্ট। সেটা কিভাবে করা যায় তা সরকার ও বিত্তবানদের ভাবতে হবে।
তাদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনাই হলো আসল কাজ। তাদের শিক্ষা, থাকার স্থায়ী জায়গা এবং খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যদি যেখানে আছে, সেখানেই থাকে, তাহলে কোনো লাভ নেই। তাদের ঘরে তুলতে হবে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সেলফি বাজি কিংবা লোক দেখানোর মন মানসিকতা ত্যাগ করেন সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে আমার-আপনার দেখানো একটু সহানুভূতি হয়তো এই শিশুদেরকে সমাজের আর দশটা শিশুর মতো বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে পারে।