মোঃ হারুন অর রশিদ খান হাসান- সভাপতি,সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব :
সাংবাদিকতা পেশায় আসার অনেক আগে থেকেই আমি প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও সরবরাহকারী। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদে আমার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদারী লাইসেন্স আছে।
জেলা পরিষদে একবার ইজিপি টেন্ডারের অংশ গ্রহণ করে লটারীর মাধ্যমে ২৩ লক্ষ টাকার একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ পেয়ে ছিলাম। কাজের নুয়া দেওয়া পর ন্যাশনাল ব্যাংকের আমার সিসি থেকে ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করি।
ঐ টেন্ডারে নোটিশের সবাইকে Work Order ( কার্যাদেশ) প্রদান করলেও আমাকে Work Order দিতে গড়িমসি করে।
তখন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ( তৎসময়ের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) দীর্ঘ আড়াই বছর ঘুরানোর পর আমার লটারি মাধ্যমে প্রাপ্ত কাজটি চেয়ারম্যান লতিফ বিশ্বাস বাতিল করে দেয়। এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যাংক গ্যারান্টির ইন্টারেস্ট দিতে হয় ৭৮ হাজার টাকা।
লটারি দিনই আমার কাজটি সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনেকেই কিনতে চায়। যদি কাজটি বিক্রি করে দিতাম তাহলে বিক্রি মূল্য,ব্যাংক গ্যারান্টির ইন্টারনেট সহ অন্যান্য খরচাসহ আমার ক্ষতির পরিমান প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লতিফ বিশ্বাসের ( প্রাক্তন পশুমন্ত্রী) আক্রোশের কারণে সে আমার এই ক্ষতি করে ছিলো।
আজ জেলা পরিষদে এসে ছিলাম। অফিসের অনেকেই পুরোনো দিনের সেই পীড়াদায়ক স্মৃতির কথা মনে করে দিলো।।আমি শুধু এই কথাই তাদের বললাম,জুলুমকারী ফ্যাসিস্ট লতিফ বিশ্বাস এখন অন্ধকার কারাগারে, আমি ভালো আছি,আমরা ভালো আছি, দেশ ভালো আছে,ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ।