
মোঃ হোসেন আলী (ছোট্ট)ঃ দ্বীনি শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসার বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর এলাকা শহিদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্টেডিয়াম রোডে মসজিদের পাশে অবস্থিত তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রারাসা প্রাঙ্গণে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রারাসার সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রারাসার সহকারী পরিচালক মুফতি রাশেদুল ইসলাম।
এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ২৭টি ইভেন্ট প্রতিযোগিতার পর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন,অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ইসলামিয়া সরকারি কলেজ জামে মসজিদের পেশ ইমামও খতিব মুহতামিম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওঃ মুফতি রুহুল আমীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রারাসার শিক্ষা সচিব,হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, হাফেজ ক্বারী আব্দুর রহিম, মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দীক, সহকারী শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদ,মোঃ সুমন ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নাযেমে দারুল ইকামাহ, হাফেজ মাওঃ জহুরুল ইসলাম প্রমূখ।
এছাড়াও দাওয়াতি মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খসরুল আলম, ইন্জিনিয়ার মারুফ , এস এম জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মুজাহিদ হোসেন, প্রমুখ। অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও সকল অভিভাবকবৃন্দ।
উল্লেখ্য ঃ তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রারাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম পরিচালক হাফেজ মাওঃ মুফতি রুহুল আমীন বলেন, উপনিবেশ আমল থেকেই এই উপমহাদেশে চলছে সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা। যার পরিবর্তন সময়ের অপরিহার্য দাবি। কিন্তু কীভাবে তা পূরণ হবে? প্রয়োজন ইস্পাত কঠিন সিদ্ধান্তে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া। সার্বজনীন একটি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা। সে লক্ষ্যেই একটি প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে আত্মপ্রকাশ করেছে তাহ্ফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রারাসা
প্রচলিত প্রথায় যারাধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, অংক, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি এমনভাবে শিক্ষা দেয়া হয় যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্মীয় জ্ঞানে উন্নত আলেম হওয়ার সাথে সাথে আধুনিক জ্ঞানেও সমমানে পৌঁছে যুগোপযোগী আলেম হতে পারবে। হিফজের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, অংক ও আরবী ভাষা শিক্ষা দান।কুরআন মর্মার্থ অনুধাবন ও বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষাদান ।