
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,,শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে সমকাল পত্রিকার প্রয়াত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের হত্যার ৮ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে তবুও শেষ হয় নি বিচার কাজ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় পৌর শহরের স্বর্ণপট্টীতে শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামের নিজস্ব কার্যালয়ে সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল এর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক সেলিম তালুকদারের সঞ্চালনায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে হত্যা বার্ষিকী পালিত হয়।
কর্মসূচির শুরুতেই সাংবাদিকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে। পরে প্রতিবাদ সভা ও প্রয়াত সাংবাদিক শিমুলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক তালুকদার প্রমুখ। এছাড়াও শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলো।
এসময় বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক শিমুলকে হত্যার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার কাজ এখনো শুরু হয়নি। তারা দ্রুত সাংবাদিক শিমুল হত্যায় জড়িতদের বিচার ও সকল সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার দাবি করেন।
বক্তারা আরো বলেন, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘষ চলার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকাল পত্রিকার শাহজাদপুর প্রতিনিধি শিমুল গুলিবিদ্ধ হন।
পরের দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় প্রয়াত সাংবাদিকের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ৩৮জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। কিন্তু ৮ বছর অতিবাহিত হলেও আজও মামলার বিচারকার্য শুরু হয়নি। মামলাটি আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এ হত্যা মামলার দ্রুত বিচারকার্য শুরুর দাবি করেছেন গণমাধ্যমকর্মী ও নিহতের স্বজনরা।
পরে নিহত সাংবাদিক শিমুলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ নাজমুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপ সাবেক পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু ও ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদের গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় চোখ গুলিবিদ্ধ হন সমকাল পত্রিকার শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক শিমুল মারা যায়।