
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ইসলামিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫) বিকেলে বিদ্যালয়ের ভিতরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্ররা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকেসহ বিদ্যালয়ের ভিতরে অবরুদ্ধ তরুণ তরুণীকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পরে সংবাদ পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এঘটনায় সলঙ্গা জুড়ে নানা বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
একদিকে মাহে রমজান আরেকদিকে ছুটির দিন বিকেলে কেন তার প্রশ্রয়ে তরুণ তরুণী বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ পুর্বক অবস্থান নিয়েছিলেন তা নিয়ে জনমনে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের ভিতরে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার একটি গোপন কুঠরী (বিশ্রাম রুম) নিয়ে সলঙ্গা জুড়ে সমোলোচনার ঝড় বইছে। ফলে বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে ও বিতর্ক এড়াতে সঠিক তথ্য উদঘাটন পুর্বক শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি ও রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট একটি তদন্ত কমিটি গঠন পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সলঙ্গার সচেতন মহল।
গত (৬মার্চ) বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়,সলঙ্গা ইসলামিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়া বিদ্যালয় ভবনের গেটের তালা খুলে এক তরুণ-তরুণীকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাকেসহ ওই তরুণ তরুণীকে বের হতে বাঁধা প্রদান করেন ও শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার সাথে তর্ক-বিতর্ক পড়েন। ফলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের রোষানল থেকে তিনিসহ ওই তরুণ তরুণী বের হতে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়াকে বলছেন আপনি অনৈতিক কাজের প্রশ্রয়দাতা। আপনি রোযা রমজানের দিনে কেনো বিদ্যালয়ে এগুলোকে প্রশ্রয় দিলেন? আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে অনেক তথ্য প্রমানাদি রয়েছে। ভিডিও’তে ধারণকৃত বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের বক্তব্য অনুযায়ী স্থানীয় সচেতন মহলের প্রশ্ন মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করে বিদ্যালয়ের ভিতরে আসলে কী আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিলেন ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়া ? এদিকে এ বিতর্কের ক্লু উদঘাটন করতে গিয়ে তথ্যানুসন্ধানে আরো জানাযায়, বিদ্যালয়ের নামাজ ঘরের পাশে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার পার্সোনাল একটি গোপন কুঠরী(বিশ্রাম রুম)রয়েছে। এ বিশ্রাম রুম নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন ও জল্পনা কল্পনা। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন বিদ্যালয় হলো পড়াশোনার জায়গা সেখানে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার পার্সোনাল বিশ্রাম রুম কেনো? তার এ বিশ্রাম রুমকে ঘিরে অনেক রহস্য ঘুরপাক পাচ্ছে সলঙ্গার সচেতন মহলের মধ্যে। অপরদিকে বাহিরে যাতায়াতের জন্য তার বিশ্রাম রুমের পাশের যে পশ্চিম গেট রয়েছে সেই গেটের তালাটিও তার ব্যক্তিগত তালা,তিনি তার মতো করে তালা খোলেন এবং তার মতো করে যখন খুশি তখন বিদ্যালয়ে তার বিশ্রাম রুমে প্রবেশ করেন। তার বিতর্কিত এ কর্মকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত পুর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য অত্র বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন সলঙ্গার সচেতন মহল ও ছাত্র-জনতা। সলঙ্গা ইসলামিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুস সবুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিদ্যালয়ের ভিতরে নামাজ ঘরের পাশে আমার বিশ্রামের জন্য একটি রুম আছে,অপরদিকে গত (৬মার্চ) বিকেলে বিদ্যালয়ের ভিতরে ছাত্রদের সাথে আমার একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে কী নিয়ে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে,এমন প্রশ্ন করা হলে তা তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।