
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ কর্তৃক তাড়াশ থানাধীন বারুহাস এলাকায় পুরাতন অটো ও চার্জার গাড়ীর ব্যাটারীর কারখানায় ডাকাতি ঘটনার রহস্য উৎঘাটন, ০৫ জন ডাকাত গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মোবাইলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,মোঃ শয়নুল ইসলাম, পিতা-মোঃ মজের আলী ফকির, সাং-মনোহরপুর, থানা-রানীনগর, জেলা-নওগাঁ ব্যবসায়ীক পাটনার মোঃ আব্দুল হাদি মিলে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানাধীন বারুহাস ইউনিয়নের তাড়াশ হতে বারুহাসগামী পাকা রাস্তার দক্ষিণ পাশে হেদার খাল নামক স্থানে স্থানীয় জনৈক মোঃ ইয়াদুল ইসলাম এর নিকট হতে জমি ভাড়া নিয়ে পুরাতন অটো ও চার্জার গাড়ীর ব্যাটারী গলিয়ে সীসা বের করার ব্যবসা করে আসছে। গত ১৩ মার্চ ২০২৫ খ্রিঃ রাতে শ্রমিকরা কারখানায় পুরাতন ব্যাটারী হতে সীসা বের করার কাজ করাকালীন সময় রাত্রি অনুমান ২৩.০০ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র হাসুয়া, ছোড়া, রামদা, লোহার রড, লাঠি-সোটা নিয়ে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে কারখানায় থাকা সকল শ্রমিকদের রশি ও কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ম্যানেজারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম করে ও তার নিকট হতে নগদ ৭০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ১৪টি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা একটি বড় কাভার্ড ভ্যান ডেকে এনে কারখানার ভিতরে ঢুকিয়ে পুরাতন ব্যাটারীর প্লেট ১০ টন, ০৩ টন সীসা, ব্যাটারীর কানেক্টিন ১২০০ কেজি যার সর্বমোট মূল্য-৩৮,৮০,০০০/- টাকার সম পরিমাণ মালামাল এবং নগদ ৭০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ৩৯,৫০,০০০/- টাকা লুট করে ১৪/০৩/২০২৫ খ্রিঃ রাত্রি ০৪.২০ ঘটিকার সময় কারখানা হতে বের হয়ে তাড়াশ থানাধীন তাড়াশ পশ্চিম ওয়াবদাবাঁধের দিকে চলে যায়। এসংক্রান্তে তাড়াশ থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।
চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনাটি দেশব্যাপি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন এই ডাকাতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের জন্য একটি চৌকস টিম গঠন করেন। মোঃ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), সিরাজগঞ্জ এর তত্বাবধানে অমৃত সূত্রধর, সহকারী পুলিশ সুপার, উল্লাপাড়া সার্কেল, সিরাজগঞ্জ ও জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জ এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/মোঃ নাজমুল হক, বিপিএম ও এসআই(নিঃ)/মোঃ শারফুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জসহ একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সহিত জড়িত ডাকাতদের সনাক্ত করেন এবং গাজীপুর জেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় নিদ্রাহীন, বিরামহীন ও নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় সাথে জড়িত ০৫ জন ডাকাত ১। মোঃ ওয়াসিম পলান (২৩), পিতা-মোঃ ওহাব আলী পলান, সাং-বেতজুরী, থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর, ২। মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২৫), পিতা-মৃত আজিবর, সাং-বারুতুপা, থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর, ৩। মোঃ ইয়াকুব শাহ (২৩), পিতা-মৃত মজনু, সাং-সাচানদিঘী, থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ, ৪। মোঃ শামীম হোসেন (৩৪), পিতা-মোঃ দবির শেখ, সাং-বড় পাওতা, থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ ও ৫। মোঃ লাবু প্রামানিক (৪০), পিতা-মোঃ মজনু প্রামানিক, সাং-পলাশী, থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জদের গ্রেফতারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ০৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ০১টি বড় কার্ভাড ভ্যান ও ০২টি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ০৫ জন ডাকাতই ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।